কলকাতা: এনআরসি নিয়েই ফের মেরুকরণের পথে রাজ্য রাজনীতি৷ উত্তরবঙ্গে ভোটের প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে এনআরসি বিরোধী হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন৷ বলছেন, বাংলা এমনই জায়গা, সবাইকে মায়ের আঁচল দিয়ে রক্ষা করবে৷ এছাড়াও তিনি বলেছেন, নাগরিকত্ব বিল (যা একটি প্রস্তাবিত আইন)তা হল খুড়োর কল৷ দৃশ্যত, পরিষ্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি বিরোধীতাকেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে সাফল্য পাওয়ার প্রধান অস্ত্র হিসাবে দেখছেন৷
অন্যদিকে, বিজেপি এনআরসি এবং নাগরিকত্ব বিলকেই বাংলায় ক্ষমতায় আসার হাতিয়ার বানিয়েছে৷ অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মূল নির্বাচনী এজেন্ডা হল এন আর সি৷ বাংলাদেশিরা বাইরে যাবে৷ তবে, বাংলাদেশি হিন্দুদের নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে নাগরিক করে নেওয়া হবে৷ তাঁরা ভারতের নাগরিক হবেন৷
শুধু অমিত শাহ বা নাড্ডা নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রচারে এসে এন আর সি-এর কথা বলেছেন৷ বিজেপির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্য নেতৃত্বকে বারবার সতর্ক করেছেন তৃণমূলের এন আর সি বিরোধী প্রচারের ব্যাপারে৷
তৃণমূলের প্রচারের মূল অংশ হল, অসমে ১৯ লক্ষ মানুষ এন আর সি – তে বাদ পড়েছে৷ তার মধ্যে ১৪ লক্ষ হিন্দু৷ সেই কারণেই বাংলায় বিজেপির হিন্দু প্রীতি বৃথা৷ কিন্তু, বিজেপি নেতারা পাল্টা বলছেন, অসমের এনআরসির সঙ্গে এই রাজ্যের তুলনা করলে চলবে না৷ অসমের বিশেষ এন আর সি৷ এই রাজ্যের তা নয়৷ অসমের এনআরসি- অসম চুক্তি অনুযায়ী৷ সারা ভারতে যেভাবে এনআরসি হবে, বাংলাতে সেই ভাবেই হবে৷
স্বাভাবিক ভাবেই পশ্চিমবঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ উপনির্বাচনের মুখে এনআরসি – প্রশ্নে তৃণমূল এবং বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে দুই মেরুতে৷ এন আর সি প্রশ্নেই ভোটের মেরুকরণ হওয়ার পথে পশ্চিমবঙ্গ৷ লোকসভা নির্বাচনে, বিজেপি ১৮টি এবং তৃণমূল কংগ্রেস ২২টি আসন পেয়েছিল৷ কিন্তু, বাংলায় ধর্মীয় মেরুকরণের ফলে ভোট ভাগাভাগি হয়েছে এই অভিযোগ রয়েছে৷ অনেক নির্বাচন এই মতের সপক্ষে বলেছেন৷ তবে উপনির্বাচনের যা৷পরিস্থিতি, এন আর সি প্রশ্নে বাংলায় ভোট আবার দু’মেরুতে৷ এন আর সি বিরোধী তৃণমূল এবং এন আর সি-এর পক্ষ নিয়ে বিজেপি৷