বিজেপিকে বিঁধে সংসদের প্রথম দিনেই ছক্কা হাঁকালেন মহুয়া

আজ বিকেল: প্রথম দিনেই সংসদের বাইশ গজে ঝড় তুলে বিজেপিকে ‘ধুয়ে দিলেন’ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। শুধু ঝড় নয়, রাজধানীর রাজনীতির কারবারিদের বুঝিয়ে দিলেন আচ্ছে দিনের টুপি পরানো সরকারকে মোক্ষম জবাব দেওয়ার মানুষটি বিরোধী শিবিরে এসে গিয়েছেন। এখন আর সিন্ডিকেট রাজ, মুসলিম তোষণ, কাটমানির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে কোণঠাসা করা যাবে না। উল্টে বিজেপির একের পর

বিজেপিকে বিঁধে সংসদের প্রথম দিনেই ছক্কা হাঁকালেন মহুয়া

আজ বিকেল: প্রথম দিনেই সংসদের বাইশ গজে ঝড় তুলে বিজেপিকে ‘ধুয়ে দিলেন’ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। শুধু ঝড় নয়, রাজধানীর রাজনীতির কারবারিদের বুঝিয়ে দিলেন আচ্ছে দিনের টুপি পরানো সরকারকে মোক্ষম জবাব দেওয়ার মানুষটি বিরোধী শিবিরে এসে গিয়েছেন। এখন আর সিন্ডিকেট রাজ, মুসলিম তোষণ, কাটমানির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে কোণঠাসা করা যাবে না। উল্টে বিজেপির একের পর এক জনবিরোধী কার্যকলাপের পর্দা ফাঁস করে গেরুয়া শিবিরের হিন্দুত্বের রাজনীতির নগ্ন চেহারাকে প্রকাশ্যে এনে দেবে বিরোধীরা। সংসদের প্রথম দিনেই বিশেষ যোগ্যতার সঙ্গে সেকাজ শুরু করেদিলেন কৃষ্ণনগরের নবনিযুক্ত সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার উপর ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঝরঝরে ইংরেজিতে কেন্দ্রের মোদি সরকারের তুলোধনা করলেন মহুয়া মৈত্র। শুরুতেই মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধৃত করে ভারতের বহুত্ববাদের ধারণা এবং সংবিধানের আদর্শের কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের সংবিধান আক্রান্ত। বহুত্ববাদ আক্রান্ত’। দেশকে যে টুকরো করে দেওয়া হচ্ছে, তার সাতটি প্রমাণের বিশদ ব্যাখ্যা দিয়ে মহুয়া বক্তৃতা শেষ করেন হিন্দি কবি রাহাত ইন্দোরির একটি কবিতা দিয়ে। যার শেষ লাইন, ‘কিসিকা বাপ কা হিন্দুস্তান থোড়ি হ্যায়’!

কৃত্রিম জাতীয়তাবাদ, প্রচারমাধ্যমের কণ্ঠরোধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ধর্মের সঙ্গে প্রশাসনকে জড়িয়ে ফেলা, জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে বাড়াবাড়ি আবেগ তৈরি করার মতো বিষয়গুলি নিয়ে বিজেপিকে বিঁধে মহুয়া বলেন, ‘‘নিরাপত্তা নিয়ে এমন বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে যেন ছোটবেলায় শোনা সেই কালা ভূত এসে ধরবে! আসলে কালা ভূতের মতোই একটা নতুন শত্রু তৈরি করা হচ্ছে, যাতে সবাইকে ভয় দেখানো যায়।’’ বক্তৃতায় এনআরসি এবং অযোধ্যার বিতর্কিত জমির উল্লেখ থাকায় বিজেপির নিশিকান্ত দুবে আপত্তি জানান। লোকসভার যাবতীয় আলো নরেন্দ্র মোদি যাতে কেড়ে নিতে না পারেন তিনি লোকসভায় মহুয়া এবং রাজ্যসভায় ডেরেক ও’ব্রায়েনকে দিয়ে বলানোর কৌশল নেয় তৃণমূল। ইংরেজি এবং বাংলার মিশেল করে তিনি বিঁধেছেন কেন্দ্রের মোদি সরকারকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *