কলকাতা: কেটে গিয়েছে ৪টি দিন৷ লাটে উঠেছে বাংলার চিকিৎসা পরিষেবা৷ চলছে, আলাপ-আলোচনার পর্ব৷ প্রথমে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর কিছুটা হলেও সুর নরম করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সরকারি ভাবে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার পর এবার মার খাওয়া ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই ইন্সস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, ঘণ্টাখানিকের মধ্যেই ইন্সস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সে পরিবহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তবে, পরিবহকে দেখে তিনি এনআরএসে যাবেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি৷
শুক্রবার সন্ধ্যায় রোগীর পরিবারের সদস্যদের হাতে বেধড়ক মারধরে গুরুতর আহত হন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল৷ সেখানে গিয়ে রাজ্যপাল ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি৷ ফোন করেছিলাম৷ তবে যোগাযোগ হয়নি৷ উনি যোগাযোগ করলে কথা বলব৷’’
সফল অস্ত্রোপচারের পর পরিবহের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল৷ আগের তুলনায় অনেকটাই ভাল আছেন পরিবহ৷ করটিতে গভীর চোট রয়েছে তাঁর৷ ইন্সস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সে ভর্তি রয়েছেন জুনিয়ার চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায়৷ পাঁচ চিকিত্সকের দল তাঁর মাথার অস্ত্রোপচার করেছেন৷ এখন পরিবহ স্থিতিশীল৷ পরিবহ এখন বিপদমুক্ত৷
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে সোমবার রাতে৷ জানা গিয়েছে, মহম্মদ সাহিদ নামে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধকে রবিবার ভর্তি করা হয়৷ রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, রোগী সোমবার সকাল পর্যন্ত ভালই ছিল৷ কিন্তু বিকেলের পর থেকে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি৷ চিকিৎসকদের ডাকা সত্ত্বেও কেউ আসেননি বলে অভিযোগ৷ সন্ধ্যায় ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়৷ রোগী মৃত্যু পর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়৷ শুরু হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি৷ হাসপাতাল চত্বরে রোগীর পরিবারের ছোঁড়া ইটের আঘাতে গুরতর জখম হন দুই জুনিয়ার চিকিৎসক৷ পাল্টা হামলা চালান জুনিয়াররাও৷ পরে পোস্টার লাগিয়ে এনআরএসের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ৷ ধর্নায় বসেছেন৷ অচলাবস্থা তৈরি হয় গোটা বাংলার হাসপাতালে৷