কলকাতা: বাংলায় এনআরসি হবেই! বিজেপি নেতৃত্বের এহেন দাবি উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, তিনি বেঁচে থাকতে বাংলায় কোনভাবে এনআরসি চালু করতে দেবেন না৷ এনআরসি ঘিরে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই গোটা বাংলাজুড়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক৷ এবার সেই এনআরসি আতঙ্কের আবহে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হল রাজ্যে৷
জানা গিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার ও বুধবার রেশন দোকানে ই-পাস যন্ত্রের মাধ্যমে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণের কাজ চালানো হবে৷ রেশন দোকানের পাশাপাশি খাদ্য দপ্তরের স্থানীয় অফিসে কাজের দিনগুলিতে আধার সংযুক্তিকরণের কাজ করা যাবে বলেও খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে৷ তবে যে দু’দিন রেশন দোকানে আধার লিঙ্ক করানোর কাজ হবে, সেদিন কোন খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হবে না বলেই জানানো হয়েছে৷ আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বলে খাদ্য দপ্তর সূত্রে খবর৷
রাজ্যে রেশন কেলেঙ্কারি রুখতে ও রেশনের গণবণ্টন ব্যবস্থার ঠিকঠাক হচ্ছে কি না তা জানতে ইতিমধ্যেই রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার৷ জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে গোটা বাংলা জুড়ে এই মুহূর্তে নয় কোটি ১০ লক্ষ গ্রাহক এই সুবিধার অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন৷ নতুন রেশন কার্ডের নাম সংযুক্তিকরণের কাজ চলছে৷ ফলে বছর শেষে এই সংখ্যা লাফিয়ে কয়েকগুন বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা৷
বিপুল পরিমাণ এই সংখ্যক গ্রাহকের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণের প্রক্রিয়া সপ্তাহে দু’দিন বরাদ্দ রাখার মাধ্যমে গোটা কাজটি কেন্দ্রের দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা যাবে কি না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ কেননা খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা বিভিন্ন সময় ব্যস্ত থাকেন৷ ফলে সেখানে যদি দিনের পর দিন গ্রাহকদের চাপ বাড়তে থাকে তাহলে অন্যান্য কাজে লাটে উঠবে৷ আশঙ্কা পর্যবেক্ষক মহলের৷ অন্যদিকে, গোটা বাংলাজুড়ে এনআরসির আতঙ্কে একের পর এক দুর্ঘটনার খবর আসছে৷ এই নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ৷ যদিও, এরআরসি নিয়ে আতঙ্কিত হতে নিষেধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর৷ তারপরও থামছে না দুর্ঘটনা৷