কোথাও তো আর কিছু বাকি নেই, উন্নয়নে দরাজ মমতা

কোচবিহার: লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ধরাশায়ী হওয়ার পর কোচবিহার ফসরে গিয়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূলের কর্মীসভা মঞ্চ থেকেই জানিয়ে দেন, কোথাও তো আর কিছু বাকি নেই৷ সবই হয়ে গিয়েছ৷ তারপরেও কিছু অপপ্রচার কুৎসা, টাকার খেলার কারণে ফলাফল খারাপ হয়েছে৷ এই নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন নেত্রী৷ কোচবিহার সফরে গিয়ে এদিন

কোথাও তো আর কিছু বাকি নেই, উন্নয়নে দরাজ মমতা

কোচবিহার: লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ধরাশায়ী হওয়ার পর কোচবিহার ফসরে গিয়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূলের কর্মীসভা মঞ্চ থেকেই জানিয়ে দেন, কোথাও তো আর কিছু বাকি নেই৷ সবই হয়ে গিয়েছ৷ তারপরেও কিছু অপপ্রচার কুৎসা, টাকার খেলার কারণে ফলাফল খারাপ হয়েছে৷ এই নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন নেত্রী৷

কোচবিহার সফরে গিয়ে এদিন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানান, ‘‘আগে ৩৪ বছরে সরকার কখনও উত্তরবঙ্গের দিকে তাকিয়ে দেখেনি৷ উত্তরবঙ্গের দিকে তাকায়নি কেউ৷ আমি বারবার এসেছি৷ এখানে ভোরের আলো হয়েছে৷ সার্কিট সার্কিট হাউজ হয়েছে৷ ছিট মহল সমাধান হয়েছে৷ সবকিছু করে দিয়েছি৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, অপপ্রচারের জন্য আমার মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছি৷’’

এনআরসি নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্য, ‘‘মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে৷ টাকা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে৷ বিজেপি মিথ্যে লোঝালে কাউকে ভুল সেই পথে চালবেন না৷ ওরা উদ্বাস্তুদের অধিকারের ছিনিয়ে নিতে চলেছে৷ অসমে ১৫ লক্ষ হিন্দুদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ আমি প্রথম উদ্বাস্তুদের জন্য লড়াই করেছিলাম৷ উদ্বাস্তুদের নিঃশর্তে নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি তুলেছিল৷ আজ বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়ে কিছু লোক ভাগাভাগি করতে চাইছে৷ হায়দ্রাবাদের একটি দল আছে যারা বিজেপি থেকে টাকা নিয়ে সংখ্যালঘু মানুষের মন ভেঙে দিচ্ছে৷ ওদের কথায় ভুল বুঝবেন না৷’’

তৃণমূলের গোষ্ঠী নিয়ে মুখ খোলেন মমতা৷ কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধানকে সতর্ক করে বলেন, ‘‘আলোর জন্য দলের মধ্যে ঝগড়া করবে না৷ আমরা শুধু কাজ চাই৷ এই দলে আমার কর্মীরাই নেতা৷ দলে একটাই নেতা৷ জোড়াফুল ছাড়া আর কিছুই নয়৷ সবাই আমরা কর্মী৷ এখানে যা কাজ করার আমি করব৷ আমার উপরে ছেড়ে দিন৷ শুধু পাশে থাকুন৷ আমি আপনাদের ভবিষ্যৎ তৈরি করে দিয়ে যাব৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *