মাসিক নয়, ভাত চাই! জরায়ু বাদ দিচ্ছেন বাস্তবের ভারত মাতাদের দল

মুম্বই: কৃষিক্ষেত্রে আত্মহত্যার ঘটনা এখন খবরের কাগজ খুললেই চোখে পড়ে, কিন্তু কখনও ভেবেছেন কি, যে অবস্থাটা আসলে এতোটাই খারাপ, যে শুধুমাত্র দুবেলা দুমুঠো খাবারের জন্য মেয়েরা বাধ্য হচ্ছে তাদের জরায়ু কেটে বাদ দিতে। হ্যাঁ, স্বইচ্ছায়। যাতে মাসিকের দিনগুলি কাজে যাওয়ায় বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। কারণ একদিন কাজে না যাওয়ামানে বাড়িতে হাঁড়ি না চড়া। ঘটনাস্থল মহারাষ্ট্র।

মাসিক নয়, ভাত চাই! জরায়ু বাদ দিচ্ছেন বাস্তবের ভারত মাতাদের দল

মুম্বই: কৃষিক্ষেত্রে আত্মহত্যার ঘটনা এখন খবরের কাগজ খুললেই চোখে পড়ে, কিন্তু কখনও ভেবেছেন কি, যে অবস্থাটা আসলে এতোটাই খারাপ, যে শুধুমাত্র দুবেলা দুমুঠো খাবারের জন্য মেয়েরা বাধ্য হচ্ছে তাদের জরায়ু কেটে বাদ দিতে। হ্যাঁ, স্বইচ্ছায়। যাতে মাসিকের দিনগুলি কাজে যাওয়ায় বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। কারণ একদিন কাজে না যাওয়ামানে বাড়িতে হাঁড়ি না চড়া।

ঘটনাস্থল মহারাষ্ট্র। ভিন রাজ্য থেকে কাজের খোঁজে বহু মানুষই আসেন এখানে। স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে আখের খেতে কাজ করতে পারলে, তা দিয়ে দু’জনের পেট চলে যায়। যে মেয়েরা আখের খেতে কাজ করতে আসেন তাদের অধিকাংশেরই বয়স ২৫-এর আশে পাশে।

মাসিক নয়, ভাত চাই! জরায়ু বাদ দিচ্ছেন বাস্তবের ভারত মাতাদের দলঅর্থাৎ এই বয়সে তাদের সক্রিয় যৌন জীবন থাকে এবং সন্তানের জন্ম দিতেও তারা সক্ষম হয়। আখের খেতের মালিকদের মতে, মাসিক হলে মেয়েরা দুদিন ছুটি নেয়, ফলে তখন কাজে লোকসান হয়। মেয়েরা দিনে তিন থেকে চার কুইন্ট্যাল আখ কাটতে পারেন। এক দিন না পারলে তখন অনেক টাকা লস। বছরের মধ্যে চার থেকে পাঁচ মাস এই কারখানায় কাজের খুবই চাপ থাকে।

তাই কাজে ঢোকার আগেই তাদের চুক্তি করতে হয়, যে সময়ের মধ্যেই হিস্টেরেক্টমি করিয়ে নেবে, যাতে কাজের কোনও ক্ষতি না হয়। এমনকী এর জন্য মালিকরা আগেভাগে তাদের টাকাও দিয়ে রাখে। প্রতি টন আখ কাটায় তারা ২৫০টাকা করে পায়। এমনতো প্রায়শই ঘটে, কাজ করতে এসে মালিকের হাতেই ধর্ষণের স্বীকার হতে হয়। এসেছে মৃত্যুর খবরও। এছাড়াও মেয়েদের জন্য থাকে নানূন্যতম বাথরুমের ব্যবস্থাও। খেতের পাশেই তাঁবু খাটিয়ে কোনও রকমে বাঁচতে হয়। এরম মর্মান্তিক ভাবেই বাঁচতে হয়, বাস্তবের ভারত মাতাদের!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *