গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক না পেয়েও ‘সাইলেন্ট’ কেন নীতীশ-নাইডু? জল্পনা তুঙ্গে

কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে ফের নীতীশ-নাইডু চর্চা! যা যা ভাবা হয়েছিল, যে সমস্ত বিষয় আলোচনায় উঠে এসেছিল, তার কোনওটাই কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে না।‌ যথারীতি সেই বিষয়টি…

Nitish Kumar and Chandrababu Naidu silent mode

কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে ফের নীতীশ-নাইডু চর্চা!

যা যা ভাবা হয়েছিল, যে সমস্ত বিষয় আলোচনায় উঠে এসেছিল, তার কোনওটাই কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে না।‌ যথারীতি সেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে। কোন বিষয়ের কথা বলা হচ্ছে?

মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক

ঘটনা হল তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি সরকার গঠনের পাশাপাশি তা চালানোর সময় শরিকি চাপের জন্য অসম্ভব বেগ পেতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে, এমন জল্পনা লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই সমস্ত বিষয়কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের বেশিরভাগ বিজেপি নিজের হাতেই রেখেছে।

বিজেপির হাতে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক

অতি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রকের পাশাপাশি রেল, কৃষি, কৃষক কল্যাণ ও গ্রামোন্নয়ন, সড়ক পরিবহণ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, শিক্ষা, তথা প্রযুক্তি, শ্রম, ক্রীড়া, পেট্রোলিয়াম, জলশক্তি, পরিবেশ, শিল্প বাণিজ্য-সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন বিজেপি সাংসদরাই। সরকার গড়ার জন্য ম্যাজিক ফিগার ২৭২ এবার বিজেপি একা ছুঁতে পারেনি। বিজেপি পেয়েছে ২৪০টি আসন।

বিপাকে ফেলবেন নীতীশ-নাইডুরা?

নীতিশ কুমারের জেডি ইউয়ের ১২ এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি’র ১৬ জন সাংসদ-সহ আরও কয়েকটি শরিক দলের সমর্থনে ম্যাজিক ফিগার পেরিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। এরপরই জল্পনা শুরু হয় যে, এবার তাহলে নীতিশ-নাইডুরা উঠতে বসতে বিপাকে ফেলবেন নরেন্দ্র মোদিকে। তাঁদের অঙ্গুলিহেলনেই চলবে সরকার।

মুখ বুঁজে মেনে নিলেন নীতীশ-চন্দ্রবাবু?

তাঁদের কথা মেনে না চললে সরকার পড়ে যেতে পারে। যে কোনও মুহূর্তে তাঁরা সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিতে পারেন বলেও চর্চা শুরু হয়। দেখা যায় রেল-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক চাইছে এই দুটি শরিক দল। এমনকী লোকসভায় স্পিকার পদেরও দাবি করছে টিডিপি। কিন্তু সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করলেন না মোদি। এরপর দেখা গেল যে যে মন্ত্রক দেওয়া হয়েছে শরিক দলগুলিকে, তা নিয়েই সন্তুষ্ট হয়েছে তারা। কী কারণে সবটাই মুখ বুঁজে মেনে নিলেন নীতিশ-চন্দ্রবাবু?

নীতীশ-নাইডুর বিশ্বাসযোগ্যতা

আসলে বারবার শিবির বদল করার কারণে নীতীশের বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে এসে থেকেছে। দুম করে এনডিএ ছেড়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে কতটা সাদরে বরণ করা হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে তাঁর। তাই নীতিশ যা হচ্ছে সবটাই মেনে নিয়েছেন। কারণ এটা স্পষ্ট বুঝে গিয়েছেন এখনই প্রেসার পলিটিক্স করতে গেলে তাঁর ক্ষতি হবে।

‘সাইলেন্ট মোড’

সেক্ষেত্রে আগামী দিনে তাঁর রাজনৈতিক ক্ষতি হতে পারে। অন্যদিকে চন্দ্রবাবু নাইডুর বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে বেশ কয়েক মাস জেলেও থাকতে হয়েছিল। সব মিলিয়ে তাঁরা এখনই সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করবেন এমন ভেবে নেওয়ার কারণ নেই।‌ সেই সূত্রেই ‘সাইলেন্ট মোডে’ চলে গিয়েছেন নীতিশ-চন্দ্রবাবু, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন-

শহুরে এলাকায় বিজেপি ঝড়, গ্রামাঞ্চলে তৃণমূল! কারণটা কী?

রাস্তাই রাস্তা দেখায়, এবার ‘ধন্যবাদ যাত্রা’ করবেন রাহুল! কতটা চাপে বিজেপি?

আগামী বছর অবসর নেবেন মোদী? ‘আসল ছবি’ শুরু করার হুঁশিয়ারি

Politics: Nitish Naidu silent mode no key ministries. Despite not receiving key ministries, Nitish Kumar and Chandrababu Naidu remain silent, avoiding pressure politics. Their silence raises speculation as BJP retains control over major portfolios in Modi’s third term, highlighting the strategic political landscape.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *