বহরমপুর: জিয়াগঞ্জে শিক্ষক হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়৷ শিক্ষক বন্ধু প্রকাশ পালের বন্ধুকে দফায় দফায় জেরা৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁদের কল লিস্ট৷ মৃত শিক্ষকের বাড়িতে থাকা আলমারি থেকে উধাও কয়েক লক্ষ টাকার গহনা ও নগদ টাকা৷ খুনের উদ্দেশ্যে লুট কিনা তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ৷ তবে খুনের পিছনে বন্ধুকে দেওয়া ছয় লক্ষ টাকা ধার নেওয়ার বিষয়টিও গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
অন্যদিকে, শিক্ষক দম্পতির বন্ধুর ভূমিকা ঘিরে রহস্যের দানা বাঁধতে শুরু করেছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, বন্ধু প্রকাশ ও তাঁর স্ত্রী বিউটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল তাঁদের ওই বন্ধু৷ তাঁদের সঙ্গে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত লেনদেনকে কেন্দ্র করে গত দু’বছর আগে সম্পর্কে ফাটল ধরতে থাকে৷ বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল ধরতেই টাকা ফেরত চেয়ে বন্ধু প্রকাশের ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ আর তারই পরিণতি এই নাটকীয় হত্যাকাণ্ড কি না তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা৷
ইতিমধ্যেই মৃত শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশের বন্ধুকে দফায় দফায় জেরা করে তদন্তকারীরা আর্থিক লেনদেন বিষয়টি জানতে চাইছেন৷ একাধিক প্রশ্ন রয়েছে তদন্তকারীদের৷ বন্ধুপ্রকাশকে কি ব্ল্যাকমেইল করা হত? কী কারণে বন্ধুপ্রকাশকে ব্ল্যাকমেল করতেন বন্ধু? বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশের উভয়ের কল লিস্ট খতিয়ে দেখে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সন্ধান শুরু করেছে৷
অন্যদিকে, জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ড নিয়ে আজও অব্যাহত রাজনৈতিক তরজা৷ জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের ধরা জরুরি৷ সেটা না করে রাজনীতি করা হচ্ছে৷ রাজনৈতিক হোক কিংবা অরাজনৈতিক, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত চাইছি আমরা৷ মন্তব্য দিলীপ ঘোষের৷
‘‘ওরা এক জন একের রকম কথা বলছেন৷ একজন বলছে শিক্ষক আরএসএস করতেন৷ অন্যজন বলছেন মৃত শিক্ষক বিজেপি কর্মী৷ ওঁরা আগে ঠিক করে নিন, কোনটা সঠিক৷ মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের৷ পুলিশ সক্রিয় হলে অপরাধীরা ধরা পড়তো৷ জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে আক্রমণ মনোজ চক্রবর্তীর৷ জিয়াগঞ্জে স্থানীয়দের তাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে৷ পরিকল্পনা করছে তৃণমূল ও পুলিশ৷ এই কাজে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশিদের৷ জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সায়ন্তন বসুর৷