কলকাতা: রোজভ্যালি-কাণ্ডে এবার গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রীকে দ্বিতীয় বারের জন্য নোটিশ পাঠাল এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ আগামিকাল তাঁকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা কোথায় গেল? তা জানতে শুভ্রা কুণ্ডুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর৷
অভিযোগ, রোজভ্যালির ডিরেক্টর পদে ছিলেন গৌতম কুণ্ডুর শ্রী শুভ্রা কুণ্ডু৷ রোজভ্যালির ব্যবসায় তাঁর কতটা প্রভাব ছিল তাও জানতে চাওয়া হতে পারে বলে সূত্রে খবর৷ একইসঙ্গে রোজভ্যালি কর্তার জুয়েলারি ব্যবসায় শুভ্রা কুণ্ডুর ভূমিকা গিয়েও উঠেছে প্রশ্ন৷ ইডি জানতে পেরেছে, জুয়েলারি ব্যবসায়ী বেশ কয়েকশো কোটি টাকা অলংকার ছিল৷ কিন্তু, রোজভ্যালি কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর রাতারাতি অলঙ্কার ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়া হয়৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার রোজভ্যালির অলঙ্কারের সন্ধানে তৎপরতা শুরু করেছে ইডি৷
ইডি সূত্রে খবর, অদ্রিজা নামের একটি জুয়েলারি ব্যবসা খুলে বাজার থেকে কমপক্ষে ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নেন গৌতমস্ত্রী৷ অভিযোগ, ওই টাকা নানা ভাবে সরিয়ে ফেলা হয়ে থাকতে পারে৷ ওই টাকার লেনদেনের হিসেবও পাননি আধিকারিকরা৷ শুভ্রা অদ্রিজার লেনদেন দেখতেন৷ কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর অদ্রিজায় তল্লাশি শুরু করে ইডি৷ ইডির তৎপরতা শুরু হতেই শুভ্রা কুণ্ডু ডিরেক্টর পদে ইস্তফা দেন৷
ইডি সূত্রে খবর, অদ্রিজা স্বর্ণ ব্যবসায় একাধিক প্রভাবশালী নিয়মিত উপঢৌকন পেতেন৷ সোনার বিনিময়ে তাঁদে থেকে একটি টাকাও নেওয়া হত না বলে অভিযোগ৷ শাসক দলের একাধিক প্রভাবশালী নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রীদের দুর্গাপুজোয় ঢালাও বিজ্ঞাপন দিত অদ্রিজা৷ একাধিক সংবাদমাধ্যমেও দেওয়া হত মোটা টাকার বিজ্ঞাপন৷ ব্যবসার সঙ্গে শাসকদলের প্রভাবশালীদের যোগ ও বাজার থেকে তোলা কোটি কোটি টাকা কীভাবে সরিয়ে ফেলা হল, তা জানতে শুভ্রাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে খবর৷