বারাকপুর: চলছে ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন৷ ভোটের উত্তাপে ফাঁসছে গোটা ভাটপাড়া৷ সকাল সকাল ভোটের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কমিশনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন মদন মিত্র৷ দিয়ে ছিলেন হুমকি৷ কিন্তু, তৃণমূল প্রার্থীর মুখে হুমকি শুনেও সেই মদন মিত্রের নিরাপত্তা বাড়াল নির্বাচন কমিশন৷ পর্যবেক্ষক মহলের ধারনা, মদন মিত্রের নিরাপত্তা বাড়িয়ে আদতে তৃণমূল প্রার্থীর উপর নজরদারি বাড়াল কমিশন৷
এদিন সকালে ভাটপাড়া পুরসভায় ১৩ নং ওয়ার্ডের ৬ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টদের কথা শুনে তৃণমূল এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ খবর পেয়ে বুথে যান মদন মিত্র। প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলে তৃণমূল এজেন্টকে ফের বুথে বসানো হয়৷
এই ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মদন মিত্র৷ বলেন, ‘‘এমন ধরেন ভোট আমি জীবনে দেখিনি৷ আমাদের কিনা, ধমকানো হচ্ছে৷ আমরা বলে দিয়েছি, আমাদের ধমকাবেন না, আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করি৷ আজ, অর্জিুন সিংয়ের কোম্পনি বাইরে থেকে লোক আনছে৷ ওরা অশান্তি করতে চাইলে করুক৷ আমরা কিছু করব না৷ কারণ, খেল তো এখন শুরু হল৷’’
ভোট শুরু হতেই নির্বাচন কমিশনকে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিলে রাখলেন ভাটপাড়ার তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র৷ বুথের বাইরে অবৈধ জমায়েত তুলতে প্রশাসন ব্যববস্থা না নিলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই এলাকা ফাকা করার হুঁশিয়ারি দিলেন মদন মিত্র৷
রবিবার সকালে ভোটপ্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমে মদন মিত্রের অভিযোগ, ‘‘বুথের মধ্যে রয়েছে ৫০ জন বহিরাগত৷ বুথের বাইরে ১০০ জন জমায়েত করে রেখেছে৷ আমরা প্রশাসনকে বলেছি, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে৷ আর তা না হলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই এলাকা সাফ করে দেব৷’’
ভোট শুরু হওয়ার আগেই অশান্তি ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায়৷ শনিবার রাতে তৃণমূল-বিজেপির দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। গুলি, বোমা চলে। কাঁকিনাড়ার কাছে আর্যসমাজ মোড়ে পর পর কয়েকটি গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয়বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয় গোটা এলাকায়৷ শনিবার রাতের পর আজ সকাল থেকেই এলাকায় বহিরাগতরা এলাকায় রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন মদন মিত্র৷