আজ বিকেল: দুর্নীতির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির কোনও যোগাযোগ নেই। ওঁর মতো মানুষ হয় না। উনি শুধু দেশের জন্য ভাবেন, দশের জন্য ভাবেন। পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তাই মানুষের সুখ দুঃখ ওঁর থেকে ভাল আর কেউ বুঝতেই পারেন না। আমার পরিবারের অনেকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন। তবে তাঁদের কেউই মোদির যোগ্যতায় পৌঁছাতেই পারেননি।
আগামী ২৩ এপ্রিল নিজের কেন্দ্র উত্তরপ্রদেশের পিলভিটে ভোটগ্রহণ। তার আগে এদিন প্রচারে নেমে মোদির প্রশংসয়া পঞ্চমুখ ইন্দিরার আর এক নাতি বরুণ গান্ধী। বেশকিছুদিন ধরেই কংগ্রেসকে ঠুকতে গিয়ে গান্ধীদের পরিবারতন্ত্রকে নিশানা করছেন মোদি-সহ বিজেপির একাধিক নেতা। তানিয়ে শোরগোলও কম হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে গান্ধী পরিবারের এক বর্তমান প্রজন্ম মুখ খুলেই মোদি জ্বরে রীতিমতো কাঁপিয়ে গেলেন। তুতো দাদা রাহুলের নাম না করেই বরুণ বলেন, ‘আমার পরিবার থেকে কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন , কিন্তু দেশকে যে সম্মান মোদিজি দিয়েছেন, তা অনেক বছর ধরে দেশকে কেউ দেননি। ওই ব্যক্তি কেবলমাত্র দেশের জন্য বাঁচেন আর দেশের জন্যই মরবেন। ওনার কেবলমাত্র দেশের চিন্তাই রয়েছে।’
এমনিতেই ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের উত্তাপ একটু বেশি, যত দিন এগিয়ে আসছে তত বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের উবাচ সেই উত্তাপকে ততোধিক গনগনে করছে। এরই মধ্যে বরুণ গান্ধীর এই মোদি তোষণের বহর দেশের রাজনৈতিক মহলকে চাঙ্গা করে দিল। গান্ধী পরিবারের সদস্য হয়েও বিজেপি মুখী মানেকা গান্ধীর ছেলে বরুণও ঠাকুমা, দাদু, জ্যেঠা কোনওদিকেই পা বাড়াননি। মায়ের নির্দেশ মেনে বিজেপির সেবা করে যাচ্ছেন। তাই পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিজেপির একাংশ যতই গালমন্দ করুন না কেন বরুণের কিছুই যায় আসে না।