কলকাতা: দিন তিনেক আগেই বলেছিলে, বীরভূমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়ার কেউ নেই, লকেট, জয়বাবুদের কেউই এখানে ভোটে দাঁড়াতে চাইছেন না। রামচন্দ্র ডোমও সিপিএমের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি হননি। আর কংগ্রেস তো প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। তাই এবার বীরভূমের মানুষকে নকুলদানা খাওয়াবেন তৃণমূলের কেষ্টবাবু। প্রিয় দাদার নির্দেশ মাথা পেতে নিয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম নেতৃত্ব, ইতিমধ্যেই নকুলদানা বিলিও শুরু হয়ে গিয়েছে। পথচারীদের মধ্যে নকুলদানা বিলি করছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।
এমনিতেই অনুব্রত মণ্ডলের চড়াম চড়াম ঢাক বাজার তত্ত্ব, গুড় বাতাসার রেশ ভোটরাজনীকে সবসময়ই লাইমলাইটে রেকেছে। বীরভূমে তৃণমূল বললে একমাত্র তাঁর মুখটিই সবার আগে ভেসে ওঠে, সেই সঙ্গে, এসব মন্তব্যের কোলাজ। তবে তিনি শুধু বলে যাবেন আর বিজেপির দিলীপ ঘোষ শুনে যাবেন তাতো হতে পারে না, হয়ওনি। লোকসভা ভোটে বিজেপির কেউ বীরভূমে ভোটে দাঁড়াতে চাইচে না, এটুকুই দিলীপবাবুর ব্রহ্মতালু গরম করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল, হয়েছেও তাই। তিনিও বাজখাঁই মন্তব্য করেছেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মাত্র দুটি কেন্দ্রে ভোট করার সুযোগ পেয়েছিলাম, তাতেই তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বেধড়ক পিটিয়েছেন, সেই দাগ এখনও তাদের পিঠে রয়ে গিয়েছে। সবকটি আসনে লড়াইয়ের সুযোগ থাকলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর অনুব্রতবাবুর ছবি বীরভূমের প্রতিটি ঘরের দেওয়ালে ঝুলত।
ভোট আসতে না আসতেই বীরভূমের গরমের পারদ চড়তে শুরু করেছে, দোলটা কাটলে সেই পারদ আরও চরচরিয়ে বাড়বে। আর এরমধ্যেই ভোটকেন্দ্রিক কাজিয়াতে ফিরে গিয়েছেন দুই নেতা। ফুল ফর্মে চলচে আক্রমণ প্রতি আক্রমণ লোকসভা নির্বাচনের আগে ও পরে আরও যে কত মন্তব্য বাজারে হিট করতে চলেছে তাই এখন দেখার। তবে নকুলদানাকে এরমধ্যেই উপভোগ করতে শুরু করেছেন বীরভূমের বাসিন্দারা। এদিকে অনুব্রতবাবুর বক্তব্য নিয়ে সিপিএমের অন্দরমহলেও ক্ষোভের রেশ।