বাংলা থেকে তৃণমূলকে মুছে দিতে চেয়েছিলেন মুকুল রায়, কেন জানেন?

আজ বিকেল: বাংলায় বিজেপির লোকসভা ভোটের বৈতরণী পার করেদিলেন দিদির একদা মধুসূদন দাদা মুকুল রায়। রায়বাবুর কাঁধে ভর করেই এই রাজ্যে প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে এল বিজেপি। যা মোদি-শাহও আশা করেননি। বাংলার রাজনৈতিক ব্যাটনকে মুঠোবন্দি করতে মুকুল রায়কে কাছে টেনেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, এই বিষয়টি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের খুব একটা ভাল লাগেনি, তবে

বাংলা থেকে তৃণমূলকে মুছে দিতে চেয়েছিলেন মুকুল রায়, কেন জানেন?

আজ বিকেল: বাংলায় বিজেপির লোকসভা ভোটের বৈতরণী পার করেদিলেন দিদির একদা মধুসূদন দাদা মুকুল রায়। রায়বাবুর কাঁধে ভর করেই এই রাজ্যে প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে এল বিজেপি। যা মোদি-শাহও আশা করেননি। বাংলার রাজনৈতিক ব্যাটনকে মুঠোবন্দি করতে মুকুল রায়কে কাছে টেনেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, এই বিষয়টি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের খুব একটা ভাল লাগেনি, তবে তাতে বিশেষ পাত্তা দেয়নি মোদি-শাহ জুটি। পাত্তা না দিয়ে ভালই করেছেন, তা আজ প্রমাণিত হল।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চাটনি বাবুর হিসেব কাঁটায় কাঁটায় মিলে গেল। সাংবাদিকদের বললেন, এই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে মুছে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল, তা আর হল কই।দশ বছর আগের কথা মনে পড়ে! ২০০৯ সাল। তখনও লোকসভা ভোট। মাঠ, ঘাট, নির্বাচন কমিশনের দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূলের সেকেন্ডম্যান মুকুল রায়। আর প্রশ্ন করলেই বলছেন, “লিখে নিন-বাংলায় বিশটা আসন পাবে তৃণমূল। আমি মানুষের পালসটা বুঝি।” শোনা যায় দিদিও নাকি একদিন ডেকে বলেছিলেন, মুকুল অতটা আশা করো না। দশ বারোটা পেলেই আমরা খুশি।

এই ২০১৯-এ দিদির সঙ্গে বনিবনা নেই। মুকুলবাবু দল পাল্টে এখন বিজেপি-তে। কিন্তু সেই এক কথা। গত তিন-চার মাস, মাঠে-মঞ্চ-সাংবাদিক বৈঠক যেখানেই মুখ খুলেছেন, বার বার বলেছেন, “বাংলায় এ বার সুনামি হবে। কুড়িটা আসন পাবে বিজেপি। মানুষের পালসটা কিন্তু আমি বুঝি”। এদিন ইভিএম খুলতে দেখা গেল, মেলালেন তিনিই মেলালেন। উনিশের ভোট ফলাফলকে ২০০৯-এর সঙ্গে প্রায় মিলিয়ে দিলেন মুকুল রায়ই। শুধু সংখ্যায় নয়, চরিত্রের দিক থেকেও সেই ফলাফল প্রায় একই রকম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *