কলকাতা: সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে এবার সরাসরি তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানালেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ শুক্রবার মুকুল রায়ের হুঁশিয়ারি, তৃণমূলের ক্ষমতা থাকলে বিধানগরের মেয়রকে বহিস্কার করে দেখাক তৃণমূল৷
বিধাননগরের মেয়রের পাশে দাঁড়িয়ে মুকুলেন মন্তব্য, ‘‘একবার নয়, সব্যসাচী দত্ত বহুবার দলের কথা শোনেননি৷ দলের নির্দেশকে অমান্য করেই আমার সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ তারপরও সব্যসাচী দত্তকে দল থেকে বহিস্কার করতে পারেনি রাজ্যের শাসক দল। এই ঘটনা থেকেই রাজ্যের শাসক দলের বেহাল সাংগঠনিক চিত্র ধরা গিয়েছে৷’’
একসঙ্গে হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া পুরসভা দখল নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ তোলেন মুকুল৷ জানান, আগামী বিধানসভা ভোটে মানুষ এর সবটা জবাব দেবেন। বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রায় ১৫ হাজার ভোটে জিতবেন বলেও দাবি করেন মুকুল রায়৷
তৃণমূলের আনা অনাস্থা নিয়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন সব্যসাচী দত্ত৷ এবার আইনজিবীদের পরামর্শ নিয়ে তৃণমূলের অনাস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা বিধাননগরেরর মেয়রের৷ তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব ‘ত্রুটিপূর্ণ’৷ আইন অনুযায়ী নেওয়া নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন সব্যসাচী৷ আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভবনা৷
গত ৯ জুলাই বিধাননগর পুরসভাতে অনাস্থা আনেন তৃণমূলের ৩৫ জন কাউন্সিলর৷ ১৮ তারিখ অনাস্থা ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়৷ গত সপ্তাহেই পুরসভার কাউন্সিলরদের অনাস্থার চিঠিতে সই করেন বিধাননগরেরর মেয়র৷ এই নোটিস পাওয়ার পর মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর আজ সটান হাইকোর্টে চলে যান সব্যসাচী৷
তৃণমূল কাউন্সিলাদের অনাস্থার চিঠি নিয়ে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে যান সব্যসাচী৷ বলেন, ‘‘আইনজিবীদের চিঠির প্রতিলিপি আমি দিয়েছি৷ তারা সেই চিঠি আগে দেখবেন৷ তারপর আমাকে যা বলার বলবেন৷’’ এরপরই জল্পনা বাড়িয়ে সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘আগে আইনঅনুয়ায়ী অনাস্থার চিঠি দিয়েছেন কি না সেটা, আমায় দেখতে হবে৷ যদি না হয় তাহলে আদালত আছে৷’’ তৃণমূলের ডাকা অনস্থা আটকাতে সব্যসাচী দত্ত আইনজিবীদের পরামর্শ নিয়ে দায়ের করেন মামলা৷