Aajbikel

VIP’কে বাঁচাতে পারল না সরকার, তাহলে সাধারণের কী হাল? বিস্ফোরক দিলীপ

 | 
VIP’কে বাঁচাতে পারল না সরকার, তাহলে সাধারণের কী হাল? বিস্ফোরক দিলীপ


কলকাতা: করোনা আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের  মৃত্যুকে ঢাল করে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার দিকে ফের আঙুল তুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যুতে স্পষ্ট, রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার হাল কতটা করুণ? মন্তব্য দিলীপ ঘোষের৷ চেষ্টা করেও সরকার যদি একজন ভিআইপিকে বাঁচাতে না পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হাল? মৃত্যু ঘিরেও রাজনীতির ময়দানে রাজ্য বিজেপি সভাপতি৷

করোনা আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ একমাস নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ফলতার বিধায়ক তথা তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ তমোনাশ ঘোষ৷ বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়৷ মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ার বাসিন্দা তমোনাশবাবুর উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত আস্থা ছিল বলে শোনা যায়৷ তাঁকে সুস্থ করে তুলতে সমস্ত ধরনের চেষ্টা বিফলে গিয়েছে৷ বিধায়ক হারিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
করোনা আক্রান্ত হয়ে বাংলায় প্রথম কোনও বিধায়কের মৃত্যু, বঙ্গরাজনীতিতে নতুন ‘ইস্যু’র জন্ম দিয়েছে৷ মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা তো তৃণমূল-বিজেপির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে৷ এবার তার ব্যথিক্রম ঘটেনি৷ বুধবার সকালে করোনা আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যুর পর রাজনীতির মাঠে নামতে খুব একটা দেরি করেননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি৷

বিজেপির রাজ্য দফতরে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘তমোনাশ ঘোষের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক৷ গত ২৪ মে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন৷ টানা একমাস বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার করিয়েও তাঁকে বাঁচানো গেল না৷ এতেই বোঝা যাচ্ছে, রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার কী অবস্থা! সরকার একজন ভিআইপিকে বাঁচাতে পারে না, তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা, সহজে তা বোঝা যায়৷’’

তমোনাশ ঘোষ৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার বিধায়ক৷ তৃণমূলের টিকিটে তিনবারের বিধায়ক ছিলেন তিনি৷ ১৯৯৮ থেকে তৃণমূলে যোগ দেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর৷ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷ জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি৷ শুরু থেকেই পরিস্থিতি সঙ্কটজনক ছিল৷ তবে, দেননি গুরুত্ব৷ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার পর বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ পরে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয়েছে তাঁর৷হাসপাতাল সূত্রে খবর, তমোনাশবাবুর ডায়াবেটিক ছিল৷ ফলে কোভিডের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে ওঠে৷ হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বুকে প্রচুর কফ জমতে থাকে৷ অস্ত্রোপচার করে কফও বের করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি৷ বিধায়কের মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন টুইটারে৷ শোকপ্রকাশও করেছেন৷ তমোনাশের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনাও ব্যক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

Around The Web

Trending News

You May like