বোলপুর: এবছর পুজোয় মাকে সাজানো হয়েছে ২৬০ ভরি সোনার গয়নায়৷ ষোড়শ উপাচারে পঞ্জিকা মেনেই প্রতিবছর সাড়ম্বরে এই কালীপুজোর আয়োজন করা হয়৷ বীরভূম জেলার বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের কালীপুজো হার মানাতে পারে কলকাতার নামী দামী পুজোকেও৷
পুজোর মূল উদ্যোক্তা কে জানেন? অবশ্যই সকলের প্রিয় কেষ্ট দা, ওরফে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ দলীয় প্রচারের মত সম্পূর্ণ নিজস্বতা বজায় রেখে এই পুজোর আয়োজন করেন বীরভূমের এই দাপুটে নেতা৷
সারা বছর রাজনৈতিক ব্যস্ততা, প্রচারের আলোয় থাকলেও এই কালী পুজোর দিন তিনি কিন্তু মায়ের বাধ্য সন্তান৷ নিয়ম নিষ্ঠা মেনে সারা দিন উপোস করে রাতে পুষ্পাঞ্জলি দেন তিনি৷ তবে এরপরেও মা যা চাইবে তাই দিতে রাজী আছেন৷ পরিবর্তে কোনও ধন-ঐশ্বর্য নয়, শুধু একটাই কামনা, ২০২১ সালে বাংলার বিধানসভানির্বাচনে তৃণমূলের দখলে যেন ২২৫ থেকে ২৩০টা আসন দখলে থাকে৷ টার্গেট পূরণ না হলে মাকে ছাড়বেন না বলেও সাফ ঘোষণা করেছেন অনুব্রত৷ মা কোথায় থেকে বিপুল পরিমাণ ভোটের ব্যবস্থা করে দেবেন, তা তিনি জানেন না৷ তবে, টার্গট পূরণ হওয়া চাই৷
আর, এই টার্গেট পূরণ না হলে মাকে ছাড়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা৷ তাঁর মতে, মায়ের বাধ্য সন্তান তিনি, তাই মা-ও কথা রাখবেন৷ দৃঢ় বিশ্বাস তৃণমূলের জেলা সভাপতির৷ অনুব্রতর এই কাণ্ড দেখে বিরোধী শিবিরের মন্তব্য, এতদিন তিনি ‘ধমকে চমকে’ ভোট করিয়েছেন৷ এবার মাকেও ‘ধমক’ দিতে ছাড়ছেন না অনুব্রত!