আজ বিকেল: বিয়েটা তুরস্কের বোদরুমে দুই পরিবারের আত্মীয়দের মধ্যে হলেও, রিসেপশন কিন্তু জমজমাট। তৃণমূলের গ্ল্যামার গার্ল সাংসদ নুসরত জাহানের রিসেপশন হচ্ছে আজ। সল্টলেকের আইটিসি তাজ বেঙ্গল, সেখানেই বসেছে রিসেপশনের আসর। বোদরুমে শুধু আমন্ত্রিতর তালিকায় ছিলেন সহকর্মী বান্ধবী তথা আর এক সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। রিসেপশনে কিন্তু চাঁদের হাট। গোটা টলিপাড়া উপচে পড়েছে, রাজনীতির ময়দানের অনকেও দেখা গেল। রিসেপশনে উপস্থিতি থেকে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ ও শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবদম্পতির সঙ্গে একই ফ্রেমে মুখ্যমন্ত্রীকে ধরেছেন সাংবাদিকরা।
রথের সন্ধ্যায় চাঁদের হাটের সমস্ত আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু নুসরত, জমকালো মেরুন রঙা ল্যাহেঙ্গার সঙ্গে মানানসই জড়োয়ার গয়না। আহা, রূপ যেন গলে গলে পড়ছে। সঙ্গে কালো শেরওয়ানিতে নিখিল জৈন একেবারে মণিকাঞ্চন যোগ যাকে বলে। পাশেই ছিলেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও। তাঁর পরনে কালো তুতে রঙা ভারী কাজের ল্যাহেঙ্গা, একেবারে সামনের সারিতে নুসরতের পাশে সাদা শাড়ি হাওয়াই চপ্পল পরিহিতা চির চেনা মুখ্যমন্ত্রী। সাংসদ অভিনেত্রী ভোটে জিতেই বিয়ে করতে বিদেশে পাড়ি দিলেন। সেখানে তাঁকে পাকড়াও করতে না পারলেও রিসেপশনে সংবাদ মাধ্যমের আমন্ত্রণ ছিল। রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন। বিয়ে করে চাপ যে লাগছে তা জানালেন, চাপের কারণ একজনের সঙ্গে জীবন কাটিয়ে দেওয়া। নিখিল পাশ থেকে জানালেন চাপ হবে না। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাক্ষী মানলেন টলি নায়িকা। রিসেপশন পার্টিতে উঠল হাসির রোল।
এদিনে খাবারের তালিকাও বেশ জমকালো। নিরামিশ ও আমিশ দুই রকমই মেনুতে রয়েছে। মূলত নিখিলের আত্মীয় পরিজনের কথা মাথায় রেখেই নিরামিশ পদের আয়োজন হয়েছে। আমিশ পদে চিংড়ি, পাবদা, ভেটকি থেকে শুরু করে দুরকম মাংসই থাকছে। তাই খাওয়াদাওয়াটাও জম্পেশই হবে। এককথা ডেস্ট্নেশন ওয়েডিংয়ে আমন্ত্রণ না পাওয়ার দুঃখ ভুলিয়ে দিতে কার্পণ্য করেননি নিখিল নুসরত, তা ভালই বোঝা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, রথযাত্রা উপলক্ষে ইসকনের আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বামীকে নিয়ে ঐতিহাসিক রথের সূচনায় উপস্থিত ছিলেন নুসরত। সকালের সে রূপ বিকেলে একেবারে বদলে গেল। সুন্দরী নুসরত যেন মোহময়ী রূপে ধরা দিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বললেন, এই বিয়েতে নিখিল নুসরতকে আর নুসরত নিখিলকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন। এর থেকে আর বড় উপহার কী হতে পারে।