নয়াদিল্লি: ক্রমশ ব্যয়বহুল হচ্ছে ভারতের সাধারণ নির্বাচন। এমনটাই জানাল এডিআর। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি বাড়ছে ‘অজ্ঞাত’ সূত্র থেকে অর্থ সাহায্য নেওয়ার প্রবণতাও। যার ফলে নির্বাচনী স্বচ্ছতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
নির্বাচনে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে পুঁজিপতিদের ভূমিকা। নরেন্দ্র মোদিকে পুনরায় জেতাতে আদা জল খেয়ে নেমেছে দেশের তাবড় কর্পোরেট সংস্থাগুলি। সপ্তদশ সাধারণ নির্বাচনে একদিকে বিজেপি’র লক্ষ্য জাতীয় অখণ্ডতা, জাতীয়তাবাদ, শক্তিশালী ভারত প্রভৃতি আড়ম্বরপূর্ণ কথা। উলটোদিকে নিজের প্রচারে মোদি জমানার দুর্নীতিগুলিকেই মূল হাতিয়ার করছে বিরোধীরা৷
অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অন্যতম শীর্ষ কর্তা নিরঞ্জন সাহু’র মন্তব্য,‘‘টাকার খেলা চলছে নির্বাচনে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘এইভাবে লাগামহীন কর্পোরেট প্রভাব চলতে থাকলে জাতীয় নীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে।’’ রিপোর্টে আরো দেখা গেছে কীভাবে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বিজেপি’র নির্বাচনী ব্যয়। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ব্যয় করেছিল প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৪ সালের ব্যয়ের পরিমাণ পাঁচ লক্ষ কোটি। রিপোর্টে ২০১৯ সালের নির্বাচনের ব্যয় প্রায় ৭ লক্ষ কোটি টাকা হিসাবে অনুমান করা হয়েছে।