দুর্নীতিপরায়ণ তৃণমূল নেতারা সামাজিক স্বীকৃতি পেয়েছেন ২০১১ সালের পর: সেলিম

দুর্নীতিপরায়ণ তৃণমূল নেতারা সামাজিক স্বীকৃতি পেয়েছেন ২০১১ সালের পর: সেলিম

কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সিপিএম আমলে পঞ্চায়েতের দুর্নীতি, চুরি ছিল ১০০ শতাংশ। সেই পুরান অভ্যাস থেকে গিয়েছে। মমতা যুক্তি দিয়েছিলেন, তাঁর সরকারের প্রায় ১০ বছরের শাসন কালে সিপিএমের ৩৪ বছরের পঞ্চায়েত দুর্নীতি ঢাকা দিতে পারা যায়নি। বুধবার মমতার বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জবাব ফিরিয়ে দিলেন সিপিএম নেতা, পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। সেলিমের বক্তব্য, তৃণমূলের কিছু অসৎ, চোর, দুর্নীতিপরায়ণ নেতা ২০১১ সালের পর সামাজিক সম্মান পেয়েছেন৷ তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। বেশিরভাগ অসৎ, চোর, দুর্নীতিপরায়ণ নেতাদের নিয়ে তৃণমূল দলটি তৈরি। সেলিমের আরও বক্তব্য, বালিঘাট থেকে কালীঘাটে দুর্নীতি পাচার হয়েছে।

বুধবার হাজরা মোড়ে কলকাতা পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “সিপিএমের আমলে ১০০ এ ১০০ শতাংশ চুরি করত পঞ্চায়েতে। আমরা তো অন্তত ১০০ শতাংশ না পারি, একবারে সব চোর উৎখাত করা সম্ভব নয়। ৯০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি, তার কারণ আমি আমার পার্টিকেও ছেড়ে কথা বলি না। মানুষের টাকা যেন কেউ না নেয়, এটা আমাদের নির্দেশ। হ্যা, ৭-৮ শতাংশ কোথাও আছে সেটা চেষ্টা চলছে। পুলিশ এফ এই আর করছে, গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে 'একশন' নেওয়া হচ্ছে। সেটাও আস্তে আস্তে কমে যাবে। অন্য রাজ্যে এটা দেখুন ১০-৯০। আমাদের এখানে এটা ৯০-১০। একদিনে কী আর সবার অভ্যাস পরিবর্তন হয়? এই মেকানিজম টা সিপিএম তৈরি করেছে ৩৪ বছর ধরে। ওদের এই মেজানিজম তা এখনও, নিচু স্তরে, সরকারি …, কিছু জায়গায় আছে। এইটাকে ট্যাকেল করতে গিয়ে রোজ ডে-নাইট আমাকে ফাইট করতে হয়।”

মমতার বক্তব্যের পর সেলিম প্রশ্ন তোলেন, সরকারি মঞ্চ থেকে 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে এসে মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতির কথা বললেন কেন? তাও আবার মিথ্যাচার করলেন। বললেন মাত্র দু-তিনটি জায়গায় আমফনের ত্রাণের দুর্নীতি হয়েছে। সারা বাংলার গ্রাম আমফনের ত্রাণ বা কোভিদের রেশন দুর্নীতি নিয়ে ফুঁসছে। মুখ্যমন্ত্রীকে পুলিশের মঞ্চকে সিপিএম বিরোধিতার জন্য কাজে লাগাচ্ছেন। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এক ডজন কমিশন করেন মুখ্যমন্ত্রী। কোন কমিশন কতজন সিপিএম নেতাকে শাস্তি দিয়েছে? সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বোস, মহম্মদ সেলিম – সবার বিরুধ্যেই কেস। কিন্তু প্রমান হয়নি। সেলিম আরও বলেন, ‘‘বাম সমলেও পঞ্চায়েতে দুর্নীতি হয়েছে। তালিকা ধরে সেই নেতাকে আমরা বার করে দিয়েছি। তাই সেই পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ছিল স্বচ্ছ। বামেদের বার করে দেওয়া দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের নিয়েই পরে তৃণমূল তৈরি হয়েছে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *