ওয়াশিংটন: জনপ্রিয় মার্কন ম্যাগাজিনে মোদির প্রচ্ছদ ছবির প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায. সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়৷ শুক্রবার অশোকনগরে নির্বাচনী সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর খোঁচা, ‘আচ্ছা মোদি বাবু, আপনাকে নিয়ে এত কেন সমালোচনা করা হয়?
বলেন, ‘‘আজ দেখলান বিদেশি ম্যাগাজিনে মোদির ছবি দিয়ে বলা হয়েছে, এই হচ্ছে বিভাজনের নেতা৷ এর পরও ওদের লজ্জা নেই৷ দেশে এক আগেও একাধিক প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন, কিন্তু, তাঁদের নিয়ে তো এসব হয়নি৷ মোদিবাবু, তোমাকে নিয়ে কেন এত সমালোচনা হচ্ছে?’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ আগেই ছিল৷ এবার সেই অভিযোগকেই শিলমোহর দিল জনপ্রিয় মার্কন ম্যাগাজিন৷ ২০ মে টাইমস ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে ছাপানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি৷ সেখানে মোটা হরফে লেখা হয়েছে, ‘ভারতের বিভাজনের প্রধান৷’ টাইমস ম্যাগেজিনের এই প্রচ্ছদ প্রকাশিত হতেই দেশজুড়ে ছড়িয়ে নয়া বিতর্ক৷ টুইট করে খোঁচাও দিয়েছে কংগ্রেস৷
Time Magazine calls Modi “India’s Divider In Chief”; a title that best describes him!
Kudos to fearless journalism. @TIME https://t.co/1bUBONPlRt
— Youth Congress (@IYC) May 10, 2019
মোদির বিরুদ্ধে প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র কি আর পাঁচ বছরের জন্য মোদির সরকারকে সহ্য করতে পারবে?’ লিখছেন আতীশ তসির৷ প্রতিবেদে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ধর্মনিরপেক্ষ নীতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবনাকে তুলনা করা হয়েছে৷ সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলার কোনও ইচ্ছেই প্রকাশ করেননি মোদি৷’ একই সঙ্গে গুজরাট দাঙ্গা, মোদীর হিন্দুত্বঘেঁসা মনোভাবের সমালোচনা করা হয়েছে৷ ২০১২ সালের আরও একটি প্রতিবেদনে টাইমস ম্যাগাজিন মোদিকে ‘বিতর্কিত, উচ্চাকাক্ষী ও কূট রাজনীতিক’ বলে উল্লেখ করে৷