মোদি-মমতার সভা, জাতীয় রাজনীতির ভরকেন্দ্র এখন বাংলা

কলকাতা: আজ, বুধবার একইদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় ভোট প্রচারে নামতে চলেছেন। যদিও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সপ্তদশ লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। মোদিও নানা রাজ্য ঘুরে এবার একদিনে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে দুটি জনসভা করবেন। শিলিগুড়ির সভা সেরে যখন মোদি ব্রিগেড সমাবেশে হাজির হবেন, ততক্ষণে কোচবিহারের দিনহাটায় তাঁর জবাব দিতে শুরু

মোদি-মমতার সভা, জাতীয় রাজনীতির ভরকেন্দ্র এখন বাংলা

কলকাতা: আজ, বুধবার একইদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় ভোট প্রচারে নামতে চলেছেন। যদিও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সপ্তদশ লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। মোদিও নানা রাজ্য ঘুরে এবার একদিনে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে দুটি জনসভা করবেন। শিলিগুড়ির সভা সেরে যখন মোদি ব্রিগেড সমাবেশে হাজির হবেন, ততক্ষণে কোচবিহারের দিনহাটায় তাঁর জবাব দিতে শুরু করবেন তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং। লক্ষণীয়, এবার ভোটযুদ্ধে সম্মুখ সমরে মোদি-মমতা। সেই দ্বৈরথের আনুষ্ঠানিক সূচনা নজর কাড়তে চলেছে গোটা বাংলার। আগ্রহের পারদ চড়ছে তামাম দেশেও।

জাতীয় রাজনীতিতে সরাসরি মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন মমতা। কেন্দ্রে বিকল্প ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া সরকার’ গড়ার লক্ষ্য তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। রাজ্যে ৪২টি লোকসভা আসনের সবক’টি জেতার টার্গেট দলীয় কর্মীদের দিয়েছেন তিনি। ঘটনাচক্রে দেশের আর কোনও বিরোধী আঞ্চলিক দল নেই, যারা নিজের রাজ্যে একক শক্তিতে ওই সংখ্যক আসনকে নিশানা করতে পারে। স্বভাবতই, বিরোধী শিবিরের স্বাভাবিক নেত্রী মমতা। গত লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি গত পাঁচ বছর কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া একের পর এক নির্বাচনে পর্যুদস্ত হয়েছে। মোদির যে হাওয়ায় ভর দিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ক্ষমতায় বসেছিল, যত দিন গিয়েছে, তা নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতায় ভর করে এমনকী গোবলয় থেকেও মোদি ম্যাজিক ক্রমে ফিকে হয়ে পড়ছে। সেই ধারা অব্যাহত থাকলে লোকসভায় একক গরিষ্ঠতা দূরে থাক, ক্ষমতায় ফেরাই কঠিন হয়ে পড়বে। সেই আশঙ্কা থেকেই বাংলা, ওড়িশা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে বাড়তি নজর দিয়েছে গেরুয়া বাহিনী। যার জেরে মোদি-অমিত শাহরা দলের আসনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া। যদিও রাজ্যে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল বিজেপির কাছে দিল্লি দখলের স্বপ্নপূরণে মোদিকে দিয়ে প্রচারের ঝড় তোলা ছাড়া কোনও পথ খোলা নেই। পাক জঙ্গি ঘাঁটি আক্রমণের বিষয়ে সেনাবাহিনীর সাফল্য থেকে অনুপ্রবেশ, এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী ইত্যাদি সামাজিক বিভাজনের তাস ইতিমধ্যেই দেখাতে শুরু করেছে বিজেপি। যেনতেন প্রকারে মোদিদের বাংলায় আসন সংখ্যা বাড়াতে হবে। কেননা, সংসদে ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি মমতাকেও দুর্বল করাটাও বিজেপির লক্ষ্য। তাই কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে অস্থায়ী ছাউনি বানানো হয়েছে ব্রিগেডের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × one =