বগুলা: নোটবন্দি করে জনগণকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেশের জনগণই এবার বাতিল করবে বলে বিশ্বাস রাখেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নদীয়ার দুই লোকসভা কেন্দ্র কৃষ্ণনগর এবং রানাঘাটে নির্বাচনী প্রচারে এসে নিজের সেই বিশ্বাসকে লাখো মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন মমতা।
পানিঘাটা আর বগুলার নির্বাচনী সভা থেকে গেরুয়া শিবিরের পোস্টার বয় নরেন্দ্র মোদির নাম না করে তাঁর হুঙ্কার, তুঘলকি কায়দায় নোটবন্দি করলে। বাতিল করলে নোট। একইসঙ্গে দেশের আরও অনেক কিছু বাতিল করছ! কৃষি বাতিল করেছ, ব্যবসা-বাণিজ্য বাতিল করেছ। এবার জনগণই তোমায় বাতিল করবে। ঠা ঠা রোদেও পানিঘাটা আর বগুলায় উপচে পড়া ভিড় সোল্লাসে সায় দিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোকে। পরপর দুটো জনসভা সেরে এদিন বিকেলে কৃষ্ণনগরের ক্ষৌনিশ পার্ক থেকে কদমতলাঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা ধরে কৃষ্ণনগরের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে পদযাত্রা করেন তিনি। সেই পদযাত্রা ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাস, আবেগ আর তাঁর নামে জয়ধ্বনি স্বস্তি দিয়েছে মহুয়াকে।
এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে নির্বাচনী সভায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বক্তৃতার ছত্রে ছত্রে তৃণমূল সুপ্রিমোকে টার্গেট করার সঙ্গেই রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা কোনও কাজ করেননি বলে অভিযোগও করেন তিনি। প্রসঙ্গটি নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, তাহলে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে ওঠা ‘বাংলার মন্ত্রী’ অভিযোগের সারবত্তা কোথায়? প্রসঙ্গত, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা সারা দেশের সঙ্গে বাংলার জন্য এত কাজ করেছিলেন যে তাঁকে ‘বাংলার মন্ত্রী’ কটাক্ষও শুনতে হয়েছে। এদিন পানিঘাটা আর বগুলার সভায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে মোদিকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন মমতা।