দ্বারভাঙা: চোখা চোখা বাক্যবাণ। স্বকীয় মেজাজ। বিরোধী জোটের মাজা ভাঙতে দ্বারভাঙায় চেনা ছন্দে মোদি। জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুকে সামনে রেখে মঞ্চে ঝড় তুললেন প্রধানমন্ত্রী। আর লালুর দলকে খোঁচা দিয়ে বললেন, বিহারে লন্ঠনের দিন শেষ।
বালাকোট হামলার ইস্যুকে বারবার প্রচারে আনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় এককাট্টা বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার দ্বারভাঙ্গার জনসভা থেকে একেবারে মোদিসুলভ কায়দার তার জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে সন্ত্রাসবাদকে সমূলে উপড়ে ফেলা প্রয়োজন। মোদির দাবি, জাতীয় নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। কারণ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে বিশাল অর্থ খরচ হয়, তা খরচ করা যেত গরিব মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, সন্ত্রাসবাদের ভারী মূল্য চোকাতে হয়েছে দেশের গরিব মানুষকে। আগে ভিভিআইপিদের জন্য এত নিরাপত্তা, মন্দির-মসজিদ-গুরুদ্বারের বাইরে এত পুলিস, রেল স্টেশন ও বাস টার্মিনাসে এত তল্লাশির প্রয়োজন পড়ত না। কিন্তু শেষ ৪০ বছরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে প্রচুর ব্যয় করতে বাধ্য হয়েছি আমরা। যে অর্থ গরিব মানুষের জন্য স্কুল ও হাসপাতাল তৈরির মতো কাজে ব্যবহার করা যেত। শ্রীলঙ্কায় জঙ্গি হামলায় অন্তত ৩৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশে (পাকিস্তান) জঙ্গি তৈরির কারখানা চলছে। তা সত্ত্বেও বিরোধীরা বলছে, জাতীয় নিরাপত্তা ভোটের ইস্যু নয়। ওরা বলছে, মোদি কেন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এত কথা বলে চলেছে? এটা কোনও ইস্যু নয়। ভোটারটা জানেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। কিন্তু পারিবারতন্ত্র চালানো এই স্বার্থপররা সহজ বিষয়টি বুঝতে পারছে না। দ্বারভাঙার সভা থেকেও এদিন আঞ্চলিক দলগুলির নেতানেত্রীদের তীব্র কটাক্ষ করেন মোদি।