মথুরাপুর: গোটা দেশজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়৷ তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি পালা৷ বাঙালির আবেগে কালী ছিটিয়ে ভাঙা হয়েছে বিদ্যাসাগরের মূর্তি৷ সৌজন্যে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ৷ শিক্ষামহল থেকে চলচ্চিত্র জগৎ থেকেও এসেছে তুমুল সমালোচনা৷ পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ভাঙা মূর্তির পরিবর্তে পঞ্চধাতুর বিদ্যাসাগরের মূর্তি গড়ার মোদির প্রস্তাব পত্রপাঠ উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
মথুরাপুরের তৃণমূলের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘মূর্তি ভাঙার পর আজ বলছেন বিদ্যাসাগরের পঞ্চধাতুর মূর্তি গড়ে দেবেন৷ ছাই নেব৷ মূর্তি ভাঙলে, ইতিহাস নষ্ট করলে, ঐতিহ্য ধ্বংস করলে, এখন বলছে মূর্তি করে দেবে৷ বাংলার টাকা আছে৷ আমরাও করে দিতে পারি৷ ঐতিহ্য ফিরিয়ে দিতে পারবে মোদি বাবু? দয়ার দরকার নেই বাংলার৷ আমরা নিজেরাই মূর্তি বানিয়ে নেব৷ এই ঘটনা ঘটানোর জন্য মোদির কয়েক লক্ষ বার কান ধরে ওঠবস করা উচিত৷’’
বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর প্রদেশের জনসভা থেকে বাংলার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মোদি৷ সাফ জানিয়ে দেন, বিদ্যাসাগরের পঞ্চধাতুর মূর্তি বানানো হবে৷ বিদ্যাসাগর কলেজের একই জায়গায় ওই মূর্তি বানানো হবে বলেও আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘যেভাবে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে, তাতে আমি মর্মাহত৷ আমি আপনাদের বলছি, বিদ্যাসাগরের ভাঙা মূর্তি সরিয়ে ওখানে পঞ্চধাতুর মূর্তি দেওয়া হবে৷’’ মমতাকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, ‘‘আজ আমি বাংলায় যাব৷ দেখি ওখানে আমার র়্যালি করতে দেয় কি না৷ কারণ ওখানে কপ্টর নামতে দেওয়া হয় না৷’’
PM Modi in Mau: We saw hooliganism by TMC workers again during Bhai Amit Shah’s roadshow in Kolkata, they vandalized Ishwar Chandra Vidyasagar’s statue. We are committed to Vidyasagar’s vision and will install his grand statue at the same spot pic.twitter.com/avn1VN1QQ8
— ANI UP (@ANINewsUP) May 16, 2019
অমিত শাহের রোড শো ঘিরে গোলমালের জেরে একদল দুষ্কৃতী বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর করে৷ কিন্তু সেই দুষ্কৃতীরা কারা? তা চিহ্নিত করতে গিয়ে শুরুতেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিশকে৷ কারণ, কিছু দিন ধরেই কলেজের সিসি ক্যামেরা অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে৷ কলেজের শিক্ষকেরাই বিষয়টি এ দিন স্বীকার করে নেন৷ তাঁরা জানান, কিছু দিন ধরেই কলেজের ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক খারাপ থাকায় রেকর্ডিং বন্ধ৷ ফলে মঙ্গলবারের ওই তাণ্ডবের ঘটনা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েনি৷ যার জন্য পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ, দু’তরফের কাছেই ভিডিও ফুটেজ বলতে এখন ভরসা বৈদ্যুতিন মাধ্যমের ছবি৷