কাঁকসা: দিদি-মোদী মানুষের জয় রোধ করতে পারবে না। আর এক মাসের মধ্যে মোদী সরকারকে গদি ছেড়ে চলে যেতে হবে। মোদী যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দিদিকেও দিন গুণতে হবে। প্রত্যেক বুথ বুক চিতিয়ে রক্ষা করুন। যারা ভয় দেখাচ্ছে তারা থাকবে না। মানুষের ক্ষোভের আগুনে তাদের পুড়তে হবে। কাঁকসায় পানাগড় গ্রামে উপচে পড়া নির্বাচনী সমাবেশে এই প্রত্যয় মেলে ধরেন সূর্য মিশ্র।
বর্ধমান- দুর্গাপুর কেন্দ্রে বামফ্রন্টের প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরির সমর্থনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় পানাগড় গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ময়দানে। সমাবেশ উপচে পড়ে পাশের রাস্তায়। কাঁকসার জঙ্গলমহলের সমস্ত এলাকা থেকে মানুষ এসেছিলেন। আদিবাসী মানুষ এসেছিলেন কাতারে কাতারে। তৃণমূলের সন্ত্রাস লালচোখের পরোয়া না করে বনকাঠির আদিবাসী মানুষ এসেছিলেন। এসেছিলেন ত্রিলোকচন্দ্রপুর, আমলাজোড়া, বিদবিহার, মলানদিঘি, গোপালপুর, কাঁকসা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম থেকে।
সূর্য মিশ্র আদিবাসীদের জীবন যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেন। অলচিকি ভাষার শিক্ষক নেই। বনকাঠির আদিবাসী ভৈরব টুডু এসেছিলেন সমাবেশে প্রচুর মানুষকে নিয়ে। কাঁকসায় বামফ্রন্ট সরকারের তৈরি করা আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য আবাসিক বিদ্যালয় পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু বিদ্যালয়ের তিনটে শ্রেণি তুলে দেওয়া হয়েছে। টাকা দিচ্ছে না সরকার। অভিভাবকরা টাকা দিয়ে দুটি শ্রেণির পড়াশোনা চালু রেখেছেন। আদিবাসীদের মাথায় জঙ্গলের অধিকার থেকে উৎখাতের খাঁড়া ঝুলছে। সূর্য মিশ্র বলেন, আদানি, আম্বানির মতন পুঁজির মালিকরা ছাড়া কে ভালো আছে এই দেশে? সব জায়গায় শূন্যপদ। নিয়োগ নেই। মোদী বলেছিলেন বছরে দুই কোটি চাকরি দেব। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ৯০ লক্ষ চাকরি দিয়ে দিয়েছি। কৃষকের ফসলের দাম নেই। কৃষক আত্মহত্যা করছে। এসএসসি’র ছেলেমেয়েরা রাজপথে অবস্থান করছেন। যারা কাজ করছিল তাদের চাকরি চলে গেছে এক কোটির। তিনি প্রশ্ন করেন আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের কী অবস্থা হয়েছে? একটাও কারখানা হয়নি। বামফ্রন্ট সরকার পানাগড়ে আড়াই হাজার একর জমির ব্যবস্থা করেছিল। একটা সার কারখানা হয়েছিল। উৎপাদন হলো না। তিনি বলেন মোদীর সরকার এবং এই রাজ্যের সরকার দুটোই দুর্নীতির সরকার। ওদিকে রাফালে, মেহুল চোকসি, নীরব মোদীরা আছে, তো এদিকে চিট ফান্ডের গুড়, ভাইপোর বউমার সোনা ও ডলার ভর্তি ব্যাগ আছে।