মোদী-মমতা বৈঠকের পর এতদিন কেটে গেলেও তৃণমূল চুপ কেন?

মোদী-মমতা বৈঠকের পর এতদিন কেটে গেলেও তৃণমূল চুপ কেন?

নিজস্ব প্রতিনিধি:  সকাল থেকে রাত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ইস্যুতে সোচ্চার থাকে তৃণমূল।  দিন দশেক আগে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দলের বেশ কয়েকজন সাংসদকে নিয়ে এই ইস্যুতে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই বৈঠক থেকে কোনও সমাধান সূত্র বের হল কিনা তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা গত ১০ দিনে বিষয়টি নিয়ে একবারের জন্যেও তৃণমূলকে সেভাবে সুর চড়াতে দেখা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

 

সেদিন বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে  বলতে শোনা গিয়েছিল,”একশো দিনের কাজে রাজ্যকে একটি পয়সাও দেয়নি কেন্দ্র। আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। সব ব্যাখ্যা সত্ত্বেও টাকা দেয়নি কেন্দ্র।” সেই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছিলেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র ও রাজ্যকে নিয়ে কমিটি করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মমতা বলেছেন,”উনি (প্রধানমন্ত্রী) বিষয়টি মন দিয়ে শুনেছেন। আশ্বাসও দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের আধিকারিকদের মধ্যে যৌথ বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে তথ্যের আদান প্রদান হবে। কেন্দ্রের থেকে ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা পায় বাংলা। সেই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আমাদের  জানিয়েছেন।”

 

রাজ্য বিজেপির অভিযোগ বিভিন্ন খাতে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে বলেই কেন্দ্রীয় সরকার দু’একটি প্রকল্পে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। তবে রাজ্য সরকার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবুও কোথাও যে কিছু ভুল হয়েছে সে কথা বিভিন্ন সময়ে কার্যত শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের মুখে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের যে যথেষ্ট তাৎপর্য রয়েছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সেদিনের বৈঠকের পর তৃণমূল বা বিজেপি দু’তরফ থেকে কোনও বক্তব্য সামনে আসছে না। তৃণমূল হঠাৎ কেন এই ইস্যুতে চুপচাপ হয়ে গেল তা নিয়ে কৌতূহল স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে। সবচেয়ে বড় কথা সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে যে কমিটি গড়ার কথা শোনা যাচ্ছে তা কীভাবে হবে, তার কাজ কবে থেকে শুরু হবে, সেটি কোন পর্যায়ে রয়েছে, ইত্যাদি বিষয় নিয়েও কোনও সুস্পষ্ট উত্তর এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি। তাই সেদিনের বৈঠকের ‘আউটকাম’ ঠিক কী তা জানা নেই বঙ্গবাসীর। এর সুস্পষ্ট উত্তর কবে মিলবে এখন তারই অপেক্ষা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *