কলকাতা: ফনি পরবর্তী পরিস্থিতি জানতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ দু’বার ফোন করা হলেও কথা হয়নি মোদি-মমতার৷ কিন্তু, কেন তাঁকে ফোনে পাওয়া গেল না? কেন হল না মোদির সঙ্গে ফোনালাপ? শুক্রবার এবিপি আনন্দকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এদিন সন্ধ্যায় ওই টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েদেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী তো আমার মোবাইল নম্বর জানেন? তাহলে কেন আমার মোবাইলে ফোন করলেন না? উনি আমার ফোন ট্যাপ করেন, এটা জানেন না আমি কোথায়৷ সবাই তো জানত, আমি তখন খড়গপুরে ছিলাম৷ কেন, আমার সঙ্গে তো সবার সঙ্গে কথা হয়৷ উনি তো আমাকে ফোন করে নিতে পারতেন৷ ফোন না করে রাজনীতি করছেন৷’’
ফনি পরিবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে তমলুকের সভামঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যের মানুষের জন্য কোনও মাথাব্যথা নেই দিদির। ফনি দুর্যোগ নিয়ে বাংলার জন্য চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু দু-দু’বার ফোন করলেও মমতাদি ফোন ধরেননি৷’’ প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকেও দাবি করা হয়, ফনি সংক্রান্ত সাম্প্রতিকতম পরিস্থিতির খবর নিতে মুখ্যমন্ত্রীকে বার দুয়েক ফোন করা হলেও কোনও উত্তর আসেনি। এমনকি ফনি দুর্যোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৈঠকে যোগ দেয়নি রাজ্য।
মোদির এমন অভিযোগের পরই গোপীবল্লভপুরের সভায় ফনি দুর্যোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক বয়কট প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষোভপ্রকাশ করে মমতা বলেন, ‘‘যা হয়েছে, তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা আমার রয়েছে। আপনার কাছে ভিক্ষা চাওয়ার কোনও দরকার নেই। আপনি তো মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রধানমন্ত্রী। আপনি দেবেন কোথা থেকে? আপনার সঙ্গে কেন আমি বৈঠক করব? আপনি কি মুখ্যমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে মুখ্যসচিব ও সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করতে পারেন? মুখ্যসচিব, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নয়। কেন মুখ্যমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে মিটিং করবেন৷’’ ফনি পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে ফোন করে খোঁজ নিলেও মমতার সঙ্গে কথা হয়নি মোদির৷