কলকাতা: বাংলায় জোড়া সভা করে তৃণমূল-কংগ্রেস-বামেদের এক আসনে বসিয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি৷ প্রথম দফার ভোটের প্রচারও করে গিয়েছেন৷ এবার, আগামী ৭ ও ১০ এপ্রিল রাজ্যে ফের প্রচারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি৷ তবে, কোথায় কখন সভা করবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি৷ বঙ্গ নেতৃত্বের কাছে আগাম তারিখ জানিয়ে স্থান নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷
পাঁচ বছর আগে সব হিসাব উড়িয়ে দিয়ে একা তিনিই দলকে অবিশ্বাস্য ফল উপহার দিয়েছিলেন। ৩০ বছর পর ভারত পেয়েছিল একক গরিষ্ঠ দলের সরকার। সেই বিপুল জয়ের পরই থেমে যায়নি তাঁর অশ্বমেধের ঘোড়া। কারণ ২০১৪ সালের পর একের পর এক রাজ্যে বিধানসভা ভোটেও বিজেপি সরকার গড়েছে। কিন্তু সেই জনপ্রিয়তা ও ক্যারিশমায় সামান্য হলেও ভাটা পড়েছে বিগত ২ বছরে। আর তাই দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন উপনির্বাচন ও বিধানসভা ভোটেও বিজেপি আশানুরূপ ফল করতে পারছে না। সম্প্রতি তিন রাজ্যে কংগ্রেসের বিরাট জয় রীতিমতো প্রশ্ন তুলে দিয়েছে মোদি-ম্যাজিক সম্পর্কে। ঠিক এরকম পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটে আদৌ বিজেপি কেমন ফল করবে তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বস্তুত কোন দল কিংবা জোট জয়ী হবে এই প্রশ্নকে ছাপিয়ে এখন জাতীয় রাজনীতির প্রধান আলোচ্য ও চর্চার বিষয় হল মোদি আবার ক্ষমতায় ফিরছেন কিনা।
সুতরাং স্বাভাবিকভাবইে বিজেপির এবারও সবথেকে বড় ভরসা সেই নরেন্দ্র মোদিই। তাই দলের নির্বাচনী প্রচার কমিটির বৈঠকে প্রাথমিকভাবে প্রচারের যে রণকৌশল স্থির করা হয়েছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাই সবথেকে বেশি সভা সমাবেশ করতে চলেছেন। তিনি দেড়শোটির বেশি সভা করবেন। ছোট রাজ্যে একই দিনে একটি বা দুটি সভা করবেন। আর বড় রাজ্যে একদিনে অন্তত তিন থেকে চারটি সভা করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মোট ৫৪৩টি আসনের মধ্যে মোদি এবার একাই ৫০০ লোকসভা আসনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। যদিও এর অর্থ এটা নয় যে তিনি ৫০০টি লোকসভা আসনেই যাবেন এবং সেই কেন্দ্রে সভা করবেন। পাশাপাশি দুটি বা তিনটি লোকসভা কেন্দ্রকে ধরে মধ্যবর্তী কোনও এলাকায় সভার আয়োজন করা হবে। আর সেখানে ওই তিন প্রার্থীই হাজির থাকবেন। এভাবেই তিনি কভার করবেন ৫০০টি লোকসভা আসন।