মোদী নিজেই দেশদ্রোহী, মৃত জওয়ানদের নামে ভোট চাইছেন: সূর্যকান্ত

কৃষ্ণনগর: নরেন্দ্র মোদী নিজেই দেশদ্রোহী। মৃত জওয়ানদের নামে তিনি ভোট চেয়েছেন। যা দেশদ্রোহিতার শামিল। আর মোদীর সেই বিজেপি’কে সাহায্য করছে তৃণমূল। দুইয়ে মিলে বিজেমূল। এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে সবাইকে। কৃষ্ণনগরের জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক সূর্য মিশ্র একথা বলেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রে বিজেপি সরছেই। আর তাহলে এই রাজ্য থেকেও সরতে হবে তৃণমূলকে।

মোদী নিজেই দেশদ্রোহী, মৃত জওয়ানদের নামে ভোট চাইছেন: সূর্যকান্ত

কৃষ্ণনগর: নরেন্দ্র মোদী নিজেই দেশদ্রোহী। মৃত জওয়ানদের নামে তিনি ভোট চেয়েছেন। যা দেশদ্রোহিতার শামিল। আর মোদীর সেই বিজেপি’কে সাহায্য করছে তৃণমূল। দুইয়ে মিলে বিজেমূল। এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে সবাইকে। কৃষ্ণনগরের জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক সূর্য মিশ্র একথা বলেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রে বিজেপি সরছেই। আর তাহলে এই রাজ্য থেকেও সরতে হবে তৃণমূলকে। এক বিকল্প ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে এখন সরকারে আনা দরকার। তাই নিজের ভোট নিজে দিন, কোন ভয় পাবেন না।

বিজেপি আর তৃণমূল একে অন্যের পরিপূরক বলে মন্তব্য করে সূর্য মিশ্র বলেন, বিজেপি’কে ভোট দিলে তৃণমূলকেই দেওয়া হলো। আর তৃণমূলকে ভোট দিলে বিজেপি’কেই দেওয়া হলো। এই কৃষ্ণনগরেই বিজেপি যখনই জিতেছে তৃণমূলের ভোটেই জিতেছে। বেশিরভাগ জায়গাতেই এমন হচ্ছে। আর যারা তৃণমূলকে ঠেকাতে হবে বলে বিজেপি’কে আনতে চাইছে সেই সব বিজেমূল সম্পর্কে সাবধান। ওরা পাড়ায় পাড়ায় এসব ছড়াচ্ছে। এদের দেখতে পেলে তাড়িয়ে তবে ছাড়বেন। সারদা, নারদ কেসে গ্রেপ্তার করতে মোদীর কী অসুবিধা ছিল বলুক। এখন তো দেখা যাচ্ছে চৌকিদারই চোর।

এদিন মিশ্র বলেন, অমিত শাহ সভা করেছেন৷ তাঁর সেই কথা, নাগরিকপঞ্জি চালু করবেন। আর মুখ্যমন্ত্রী একটা মেকি লড়াই দিচ্ছেন যেন মনে হয় তিনি এর বিরুদ্ধে। কিন্তু দুজনেই প্ররকারান্তরে একই নীতি নিয়ে চলেন। আপনারা সোশ‌্যাল মিডিয়ায় সব দেখতে পাবেন আজকাল। পাকিস্তানের সঙ্গে দোস্তি করছেন আর মুখে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা খেলছেন। আর রামমন্দির ছাড়া মুখে কোনও কথা নেই। যেন দেশে আর কোনও সমস্যা নেই। প্রতি বছরই দেশে বেকারের সংখ্যা কোটি ছাড়াচ্ছে। কৃষক আত্মহত্যা করছে। কৃষকদের আয় নাকি দ্বিগুন হবে, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ৩ গুন হবে। কোথায় কি? কারখানা বন্ধ হচ্ছে। লোক ছাঁটাই হচ্ছে। ব্যাঙ্কের ঋণ খেলাপিরা টাকা লুট করছে। ভাইপোর স্ত্রীর সোনা ডলার ইত্যাদির এফআইআর করতেই এতদিন লেগে গেল? শুধু মৃত সেনা জওয়ানদের নামে ভোট চাইলেই হবে? মানুষ এসব দেখে বিরক্ত। তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন। নেতা বদল হলেই হবে না, নীতি বদলাতে হবে। সভায় সুমিত দে এদিন বলেন, সাংসদ জেলে যায় এদের লজ্জাও হয় না। তৃণমূল কংগ্রেস কোনও দায়িত্ব নেয় না। বিজেপি নামে যে দলটি আছে তারা তো কুসংস্কারে আচ্ছন্ন, তারা আচ্ছন্ন উগ্র হিন্দুত্ববাদে। সবাইকে নিয়ে দেশগঠন কীভাবে করবে তারা? সুতরাং এদের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই। মানুষের দাবি যারা তুলে ধরে তাদেরকেই নির্বাচিত করতে হবে এই নির্বাচনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *