গান্ধীনগর: বঞ্চনার বয়স প্রায় ছ’দশক। তবু নর্মদা খাল প্রকল্প নিয়ে এখনও হাপিত্যেস করে বসে আছেন গুজরাতের প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ। কারণ, এর সঙ্গেই সরাসরি জড়িয়ে রয়েছে তাঁদের জীবন ও জীবিকা। স্বাভাবিকভাবেই ফি বছর এই প্রকল্প নিয়ে সুড়সুড়ি দিয়ে ভোট পেতে চেষ্টার ত্রুটি রাখে না কোনও রাজনৈতিক দলই। কিন্তু, নির্বাচনের পর সব যেন কেমন থিতিয়ে পড়ে। আর ওই মানুষগুলির প্রতীক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হয়।
আবারও এক লোকসভা ভোট শুরু হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবে প্রতিশ্রুতির ঝুলি নিয়ে হাজির হয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। গত প্রায় দুই দশক ধরে এই রাজ্যের ক্ষমতা রয়েছে বিজেপির হাতে। এই ইস্যুকে অন্যতম হাতিয়ার করেই মসনদে বসেছিল তারা। কিন্তু ক্রমেই মানুষ যে আর প্রতিশ্রুতিতে ভরসা রাখতে পারছে না, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে বলে মত অভিজ্ঞ মহলের।
তারা এখন আর নেতাদের ভাষণে নয়, বাস্তবে এই প্রকল্পের রূপায়ণ দেখতে চাইছে। জলের পর্যাপ্ত বহমানতা না থাকায় মধ্য ও দক্ষিণ গুজরাতে নর্মদার মোহনা অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। এছাড়া, নর্মদা নদীকে কেন্দ্র করে এই প্রকল্প সম্পন্ন হলে সৌরাষ্ট্র ও উত্তর গুজরাতের কোটি কোটি মানুষের পানীয় জলের অভাব মিটবে। পাশাপাশি, সেচের জন্য পর্যাপ্ত জল পাওয়া যাবে। দীর্ঘদিনের এই সমস্যাগুলির কোনও স্থায়ী সমাধান না পাওয়ার ক্ষোভ তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। যার আঁচ পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও কর্তাব্যাক্তিরা যথেষ্ট চাপে। ভোটের মুখে আশপাশের বিভিন্ন বাঁধ থেকে জল ছেড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা।