মোদিকে বসন্তের কোকিল বলে কটাক্ষ মমতার

পূর্বস্থলী: বাংলাকে বঞ্চিত করে এখন বসন্তের কোকিলের মতো উড়ে এসে ভোট চাইছেন। গেরুয়া শিবিরের ‘পোস্টার বয়’ নরেন্দ্র মোদি আর তাঁর সেনাপতি অমিত শাহকে সোমবার এভাবেই বিঁধেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বর্ধমান পূর্ব এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের দুই দলীয় প্রার্থী সুনীল মণ্ডল ও মমতাজ সঙ্ঘমিত্রার সমর্থনে পূর্বস্থলীর জামালপুর, দেওয়ানদিঘি এবং রায়নায় পরপর তিনটি সভা করেন মমতা।

মোদিকে বসন্তের কোকিল বলে কটাক্ষ মমতার

পূর্বস্থলী: বাংলাকে বঞ্চিত করে এখন বসন্তের কোকিলের মতো উড়ে এসে ভোট চাইছেন। গেরুয়া শিবিরের ‘পোস্টার বয়’ নরেন্দ্র মোদি আর তাঁর সেনাপতি অমিত শাহকে সোমবার এভাবেই বিঁধেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বর্ধমান পূর্ব এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের দুই দলীয় প্রার্থী সুনীল মণ্ডল ও মমতাজ সঙ্ঘমিত্রার সমর্থনে পূর্বস্থলীর জামালপুর, দেওয়ানদিঘি এবং রায়নায় পরপর তিনটি সভা করেন মমতা।

তিনটি সভাতেই মোদি-শাহ জুটির বিরুদ্ধে গত পাঁচ বছর ধরে বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ আনেন তিনি। এরপরও কেন বাংলার মানুষ তাঁদের ভোট দেবে, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্নও ছুঁড়ে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের দিকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এক সময়ের লালদুর্গে এখন জোড়াফুলের প্রভাব অনেকটাই বেড়েছে। কয়েকটি জায়গায় বিজেপিও তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। তবে তারই মাঝে মমতার সভাকে ঘিরে যে উন্মাদনা, আবেগ, উচ্ছ্বাস আর স্বতঃস্ফূর্ততা এদিন প্রত্যক্ষ করল দুই বর্ধমান, তাতে বিজেপি শিবিরের অস্বস্তি বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মমতা বলেন, একসময়ের লালপার্টির হার্মাদরাই এখন বিজেপির ওস্তাদ হয়েছে। এই ওস্তাদদের ভরসাতেই বাংলায় এসে উঁকিঝুঁকি মারছে গেরুয়া শিবির। একরাশ বিরক্তি উগরে দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, পাঁচ বছর ধরে শুধুই বঞ্চনা। নায্য নানা পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বাংলাকে। বাংলা খেল কি না, বাংলা পরল কি না খোঁজ নেয়নি। বন্যায় আসেনি, খরায়ও আসেনি। এক পয়সা সাহায্য করেনি। মোদি-শাহ জুটির নাম না করে মমতার কটাক্ষ, এখন ভোট এসেছে, তাই বসন্তের কোকিলের মতো এসে কুহু কুহু করছে। দুই সাইনবোর্ডবাবু টাকার থলি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বলছে, ভোট দাও, ভোট দাও। তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রশ্ন, কেন ভোট দেবে? বিপদে যাদের দেখা পাওয়া যায় না, তাদের কেন ভোট দেবে মানুষ? প্রত্যয়ী মমতার কথায়, ৩৬৫ দিন যারা পাশে থাকে, তারাই ভোট পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *