কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ডাকা সর্বদল বৈঠক বয়কট করছে তৃণমূল৷ করোনা মোকাবিলায় সর্বদল বৈঠকের বিষয়ে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী তৃণমূল সাংসদের ফোন করেছেন আমন্ত্রণ জানান৷ আগামী ৮ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সর্বদল বৈঠক করার কথা৷ কিন্তু তার আগেই তৃণমূলের তরফে সেই বৈঠক বয়কট করার কথা জানানো হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর৷
জানা গিয়েছে, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী আজ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েনকে ফোন করেন৷ সেখানে প্রধানমন্ত্রী ডাকা সর্বদল বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মধ্যে দিয়ে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন জানান৷ কিন্তু ডেরেক ও’ব্রায়েন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর আমন্ত্রণে সাড়া দিচ্ছেন না৷ তাঁরা এই সর্বদল বৈঠকে যোগ দেবেন না৷
কেন তৃণমূলের তরফে মোদির ডাকা সর্বদল বৈঠকে যোগ দেবে না? এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ তৃণমূল সূত্রে তুলে ধরা হয়েছে৷ তৃণমূল সূত্রে খবর, গত ৫ মার্চ থেকে তৃণমূলের তরফে পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক ডাকার জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল৷ কিন্তু তাদের কথা শোনা হয়নি৷ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আগেই সর্বদল বৈঠক ডাকার কথা বলেছিল তৃণমূল৷ কিন্তু, সেই দাবি অনুমোদন মেলেনি৷ করোনার জেরে আগেই সংসদ বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছিল তৃণমূল৷ তাও খারিজ করা হয়৷ পরে করোনা পরিস্থিতি দেখে সংসদ বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ তৃণমূলের দাবি, তখন তাঁদের কথা না শুনে এখন কেন সর্বদল বৈঠক ডাকা হল? মূলত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূল এই সর্বদল বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে৷
তবে মহামারীর এই পরিস্থিতির মধ্যে সর্বদল বৈঠক এড়িয়ে যাওয়া কি খুব যুক্তিসঙ্গত? করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে ঠিক যেমন সহযোগিতা করছেন বিরোধীরা, ঠিক তেমনি কেন্দ্র সরকারের সঙ্গেও একই ভাবে বিরোধীরাও সহযোগিতা করতে পারতেন না? প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷