মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ, ব্যবস্থা নেবে কি কমিশন?

নয়াদিল্লি: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে যোগী আদিত্যনাথ ও মায়াবতীর নির্বাচনী প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে সেই নির্বাচন কমিশনই নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রাপ্ত যাবতীয় নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগে চুপ। ভারতীয় সেনাকে ‘মোদি সেনা’ বলায় তাকে সতর্ক করেছে কমিশন। কিন্তু একই অভিযোগে মোদির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে অপারগ কমিশন। তাহলে কি প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা

মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ, ব্যবস্থা নেবে কি কমিশন?

নয়াদিল্লি: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে যোগী আদিত্যনাথ ও মায়াবতীর নির্বাচনী প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে সেই নির্বাচন কমিশনই নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রাপ্ত যাবতীয় নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগে চুপ। ভারতীয় সেনাকে ‘মোদি সেনা’ বলায় তাকে সতর্ক করেছে কমিশন। কিন্তু একই অভিযোগে মোদির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে অপারগ কমিশন। তাহলে কি প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা নির্বাচনী আচরণবিধি রয়েছে? মুখে কুলুপ এঁটেছে কমিশন।

টেলিভিশনে নরেন্দ্র মোদিকে দেখা গেছে বক্তৃতা করতে, ‘‘কংগ্রেস হিন্দুদের অপমান করেছে। মানুষ তাদের শাস্তি দেবে নির্বাচনে। তাই কংগ্রেসের নেতারা সংখ্যাগুরু হিন্দু অধ্যুষিত কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ভয় পাচ্ছেন। তাই যেখানে সংখ্যাগুরুরা সংখ্যালঘু, সেইসব কেন্দ্রে বহিরাগত প্রার্থী দাঁড় করাতে বাধ্য হচ্ছে কংগ্রেস।’’ মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার একটি নির্বাচনী জনসভায় এই কথা তিনি বলেন। তাকে আরো দেখা গেছে পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের নামে ভোট চাইতে। বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইকে অংশগ্রহণকারী এয়ার কমান্ডারদের নামেও ভোট চাইতে দেখা গেছে তাকে। ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়েছেন যে, নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করা হলে কড়া পদক্ষেপ নিতে কমিশন দ্বিধা করবে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন থেকে দশ দিন পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে কমিশন। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে নরেন্দ্র মোদির ক্ষে্ত্রে কমিশন চুপ কেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *