শিক্ষক হত্যাকাণ্ডে ধৃত রাজমিস্ত্রি, প্রতিবাদের আগুন এবার নবান্নে

জিয়াগঞ্জে সপরিবারে শিক্ষককে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে রাজমিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ খুনের ঘটনায় কিনারা করার দাবি পেশ করেছেন জেলা পুলিশ সুপার৷ পাঁচ মিনিটে তিনজনকে এক ব্যক্তির হাতে খুন হওয়া পুলিশের যুক্তিকে কাঠগড়ায় তুলে এবার নবান্ন অভিযানের ডাক শিক্ষকদের৷ শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১৭ অক্টোবর মিছিলের পরিবর্তে নবান্নে প্রতিনিধিমূলক

শিক্ষক হত্যাকাণ্ডে ধৃত রাজমিস্ত্রি, প্রতিবাদের আগুন এবার নবান্নে

জিয়াগঞ্জে সপরিবারে শিক্ষককে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে রাজমিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ খুনের ঘটনায় কিনারা করার দাবি পেশ করেছেন জেলা পুলিশ সুপার৷ পাঁচ মিনিটে তিনজনকে এক ব্যক্তির হাতে খুন হওয়া পুলিশের যুক্তিকে কাঠগড়ায় তুলে এবার নবান্ন অভিযানের ডাক শিক্ষকদের৷

শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১৭ অক্টোবর মিছিলের পরিবর্তে নবান্নে প্রতিনিধিমূলক ডেপুটেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ কেননা, আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে জিয়াগঞ্জের শিক্ষক হত্যার ঘটনায় উৎপল বেহারা নামে এক ব্যক্তিকে মূল অভিযুক্ত হিসাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ধৃতকে আদালতে তোলা হচ্ছে৷ ধৃত ওই ব্যক্তি অপরাধ স্বীকার করেছে৷ এ নিয়েও নানা বিতর্ক দেখা দিয়েছে৷ পুলিশ বলছে, ধৃত রাজমিস্ত্রি পাঁচ মিনিটে তিন জনকে খুন করছে৷ যদিও এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মৃত্যের পরিবার৷ মৃত শিক্ষকের স্ত্রীর বিউটি মণ্ডল পালের পরিবারের তরফে পুলিশের যুক্তি উড়িয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়েছে৷ শিক্ষক হত্যাকাণ্ডে সাত দিন পর প্রথম গ্রেপ্তারির ঘটনা ঘটলেও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না শিক্ষকদের একাংশ৷

পুলিশ তদন্ত ও শিক্ষক হত্যার বিচার চেয়ে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘আপনারা জানেন, আমরা জিয়াগঞ্জে ৬ বছরের শিশু-সহ গোটা পরিবারের সবাইকে নৃশংস ভাবে খুন ও ফালাকাটায় ১১ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি৷ আমাদের প্রতিবাদের অভিমুখ ব্যক্তি নয়, দুষ্কৃতীদের নৃশংসতা ও প্রতিনিয়ত এমন ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে৷ এই ধরণের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে কোনও ভাবেই তদন্তের আগেই রাজনৈতিক বা ধর্মীয় রঙে রাঙানোর চেষ্টার বিরুদ্ধেও আমাদের প্রতিবাদ৷’’

তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘আমরা প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই৷ না হলে কোনভাবেই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য কমবে না৷ এ কথা ঠিক, এই বীভৎস খুনের ঘটনায় সারা রাজ্যের বিভিন্ন স্তর থেকে ব্যাপক প্রতিবাদ ধ্বনিত হওয়ায় এবং ১৭ অক্টোবর, কলকাতায় তীব্র প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়ায় তার ঠিক আগেই পুলিশ বাধ্য হয়ে এ বিষয়ে তৎপর হয়৷ রাজ্য কমিটি ও জেলার সক্রিয় সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা আপাতত প্রকাশ্য প্রতিবাদ মিছিলের পরিবর্তে ওই দিন মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে প্রতিনিধিমূলক ডেপুটেশনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 10 =