বারাসত: বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস-সহ ১২ জন কাউন্সিলার বিজেপিতে যোগদান করেছেন৷ এর জেরেই বনগাঁ পুরসভায় চালিকা শক্তির ভূমিকা নিতে পারে বিজেপি৷ দিল্লিতে যখন দলবদল চলছে, ঠিক তখনই কাউন্সিলাদেক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, যাঁরা দল ছেড়ে চলে যাবে তাঁদের আর কোনও ভাবেই ফেরানো হবে না৷ কিন্তু, পুরানো কর্মীরা ফিরতে চাইলে ভেবে দেখা হবে৷
মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এহেন ঘোষণার পরও বনগাঁয় তৃণমূল নেতাদের দলবদল প্রসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি, ওই ১২ জন কাউন্সিলারের মধ্যে ৬ জন তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন৷ দিল্লিতে বেড়ানোর নাম করে বিজেপির অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ জোর করে উত্তরীয় পরানো হয়েছে বলেও অভিযোগ মন্ত্রীর বনগাঁ ফিরে তাঁরা নিজেদের ভূমিকা দেখাবেন বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী৷
আর এতেই বেড়েছে নয়া জল্পনা৷ অনেকেই বলছে, তাহলে কী ১২ জন কাউন্সিলারের সঙ্গে কি দরকষাকষি ঠিকঠাক জমেনি বিজেপির? নাকি, এর পিছনে রয়েছে অন্যকোনও প্রলোভন? নাকি অন্যকোনও ‘সেটিং’? প্রশ্ন ঘুরছে পুর এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেই৷
শুধু আম জনতাই নয়, প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির অন্দরেও৷ বিজেপির প্রকৃত কর্মীরা দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেছেন৷ লোকসভায় সাফল্যও এসেছে৷ লড়াই হয়েছে সরাসরি তৃণমূলের সঙ্গে৷ কিন্তু, সেই তৃণমূলের নেতারাই যদি বিজেপিতে যোগ দেন, ক্ষমতার দাবিদার হন, তাহলে প্রকৃত বিজেপি কর্মীরা তিমিরেই থেকে যাবেন৷
বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস-সহ বনগাঁ পুরসভার ১২ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার বিজেপিতে যোগদান করলেও পুরসভার বোর্ড নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া শাসকদল৷ যে ১৪ জন তৃণমূল কাউন্সিলার বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন তাঁদের মধ্যে ১২ জন বিজেপিতে গেলেও ভাইস চেয়ারম্যান সহ দু’জন কাউন্সিলার বিজেপিতে যাননি৷ ফলে, এখন বনগাঁ পুরসভা কার দখলে থাকে, সেটাই এখন দেখার৷