কোচবিহার: বুধবার ব্রিগেডের সভা থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর না হওয়ার ক্ষতকে খুঁচিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এবার, বৃহস্পতিবার মাথাভাঙার সভা থেকে নাম না করে তারই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এদিন কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তোলেন৷ গত সাত বছরে রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারীদের জন্য কী কী করছেন তাও তুলে ধরেন৷ সিভিক ভলানটিয়ার থেকে আশা কর্মী-সহ পার্শ্বশিক্ষক ও অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি৷ ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মাথাভাঙার মঞ্চ থেকে৷ কিন্তু, উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরা হলেও রাজ্য নয়া বেতন কমিশন কবে চালু হবে? কর্মীদের মহার্ঘভাতা করে মেটানো হবে? প্রাথমিক শিক্ষকদের যোগ্যতা অনুযায়ী কবে বেতন বাড়ানো হবে? কবে, সহকারি শিক্ষক ও পার্শ্বশিক্ষকদেক সমস্যা কবে মেটানো হবে তা স্পষ্ট না হলেও মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে কাউকে না কাউকে কোনও না কোনও সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে৷ একই সঙ্গে বাংলায় এক কোটি কর্মসংস্থা হয়ে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
বেতন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গ তোলার পাশাপাশি বিজেপিকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে ফের, সাধারণ মানুষ ব্যাংকে রাখা টাকাও আর পাবেন না৷ কারণ, মোদির শুধু লুট করতে জানে৷’’ এনআরসি ইস্যুতে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘অসমে ২২ লক্ষ হিন্দুর নাম বাদ দিয়েছে। ২৩ লক্ষ মুসলমানের নাম বাদ দিয়েছে। জীবনে বাংলায় এনআরসি করতে দেব না৷ যার সারা শরীরে রক্তের দাগ, সে প্রধানমন্ত্রী হয়েছে এটা লজ্জার। এখন মানুষই বলছে চৌকিদার চোর হ্যায়৷’’