কলাকাত: দীর্ঘ জল্পনার পর অবশেষে ইস্তফা দিলেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত৷ ইতিমধ্যেই ইস্তফাপত্র তিনি জমা দিয়েছেন৷ সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তিনি তাঁক ইস্তফার ঘোষণা করেন৷ সঙ্গে দল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতেও ছাড়েননি তিনি৷
আজ বিকেলেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘আমি বিভিন্ন অনিময় রোখার চেষ্টা করেছিলান৷ এফআইআর করেছিলাম৷ কিন্তু, এই কাজে অনেকের সমস্যা হচ্ছিল৷ আমাকে বাধাও দেওয়া হয়৷ ফলে, জনগণের রায় নিয়ে এই পদে বসেছিলাম৷ কিন্তু, এই পদে বসে যদি কোনও কাজ করতে না পারি, তাহলে এই পদে থাকার কোনও দরকার নেই৷ তাই আমি এই পদ থেকে ইস্তফা দিলাম৷’’
গত ৯ জুলাই বিধাননগর পুরসভাতে অনাস্থা আনেন তৃণমূলের ৩৫ জন কাউন্সিলর৷ ১৮ তারিখ অনাস্থা ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়৷ গত সপ্তাহেই পুরসভার কাউন্সিলরদের অনাস্থার চিঠিতে সই করেন বিধাননগরেরর মেয়র৷ এই নোটিস পাওয়ার পর মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সটান হাইকোর্টে চলে যান সব্যসাচী৷ দায়ের করেন মামলা৷ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে আজ অর্থাৎ ১৮ তারিখ অনাস্থা ভোটের নোটিস খারিজ করে দু’দিনের মধ্যে ফের নতুন করে অনাস্থা আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এই নির্দেশের পর এবার নিজের পদ থেকে ইস্তফা মেয়র সব্যসাচীর৷ আর এই খবরে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা৷ তাহলে কি তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন?
এর আগেই অনাস্থা প্রস্তাবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিধাননগরের মেয়র তথা রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী৷ ৮৯ পৃষ্ঠার আবেদনে সব্যসাচী দাবি করেন, তাঁকে পদচ্যুত করতে ভয় দেখিয়ে কাউন্সিলরদের অনাস্থা প্রস্তাবে সই করানো হয়েছে৷ পুর কমিশনারের বিশেষ বৈঠক ডাকার নোটিসের আইনি বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মেয়র সব্যসাচী৷ ওই নোটিসে কমিশনারের সই জাল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর৷