আগরতলা: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ডাকা বৈঠক এড়ালেন একাধিক বিধায়ক। শুক্রবার বিকেলে পরিষদীয় দলের বৈঠকে এলেন না সুদীপ রায় বর্মনের মতো কয়েকজন মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ বিধায়ক। সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে। সেখানেই বিধায়কদের অনুপস্থিতি ত্রিপুরা বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে।
বিজেপি ছেড়ে মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরতেই ত্রিপুরা বিজেপিতেও ভাঙনের আশঙ্কা করেছিল রাজনৈতিক মহল। এর আগে মুকুল রায়ের চেষ্টায় সুদীপ রায় বর্মন সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেন। পরে তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালে ত্রিপুরাতেও তৃণমূলের সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়ে। ফের তৃণমূলের ‘ঘরের ছেলে’ ঘরে ফিরতেই ত্রিপুরা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। পূর্বনির্ধারিত এই বৈঠকে ৩৬ জন বিধায়কের মধ্যে ১০জনই উপস্থিত ছিলেননা। আর তাতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই একসময়ের ত্রিপুরার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন দিল্লি ঘুরে আসেন। সুদীপের দিল্লি সফর ঘিরে ত্রিপুরার মন্ত্রীসভায় রদবদলের জল্পনা তৈরি হয়। সুদীপ শিবিরকে আটকাতে বিজেপি তাদের কাউকে কাউকে মন্ত্রীত্ব দিতে পারে ,এমনই খবর রটায়। মন্ত্রীসভার উপরে কতখানি আস্থা আছে বিধায়কদের তা নিয়ে হওয়া এই বৈঠকে তাঁর গরহাজিরা নিয়েও চিন্তিত বিজেপি।
তবে শেষমেশ একাধিক মুকুল ঘনিষ্ঠ বিধায়কের বৈঠক এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত বিজেপি শিবির। এদিনের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন স্বয়ং উপমুখ্যমন্ত্রী যীশ্নু দেবশর্মা। শোনা যাচ্ছে, তার অন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা থাকায় তিনি আসতে পারেননি। পাশাপাশি অনুপস্থিত ছিলেন সুদীপ রায় বর্মন, পরিমল দেববর্মন, রামপ্রসাদ পাল, আশিস দাস, আশিস কুমার সাহা প্রমুখ । এই বৈঠকে বিশ্ববন্ধু সেনকে অধ্যক্ষ করার দাবী নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্র মারফত খবর, কয়েকজন বিধায়ক যীশ্নু দেবশর্মা কে মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। যদিও এসম্পর্কিত কোন সত্যতা জানা যাচাই করেনি আজবিকেল.কম। সবকিছুর মধ্যে যে বিপ্লব দেব এখনই স্বস্তি পাচ্ছেন না সেবিষয় স্পষ্ট।