নয়াদিল্লি : ইউপিএ আমলে একাধিকবার সার্জিকাল স্ট্রাইক করা হয়েছিল। কিন্তু তা কখনই ভোটের স্বার্থে ব্যবহার করা হয়নি। তা করা হয়েছিল কৌশলগত প্রতিরোধের জন্য, ভারতের বিরোধীদের যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য, ভোটের জন্য নয়।প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং হিন্দুস্তান টাইমসে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যেভাবে নরেন্দ্র মোদি সেনাবাহিনীকে ভোটের প্রচারে কাজে লাগাচ্ছে, তা লজ্জাজনক। ইউপিএর সময়েও সেনাকে কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরপর পাম্পোর, পাঠানকোট, উরি, গুরদাসপুর, সাঞ্জোয়ান সেনা ছাউনি এমনকী, অমরনাথ যাত্রীদের ওপরেও জঙ্গি হামলা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, গত ৫ বছরে কাশ্মীরে জঙ্গি হানা বেড়েছে ১৭৬%, যুদ্ধবিরতি সীমা লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়েছে ১ হাজার শতাংশ। মনমোহনের মতে, পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইকে পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে নিয়ে আসা বিজেপি সরকারের সবথেকে বড় ভুল। গত ৭০ বছরে কখনই সরকারকে সেনাবাহিনীর পিছনে মুখ লুকোতে হয়নি। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এটা করতে হচ্ছে মোদিকে। সুনির্দিষ্ট তথ্য হাতে থাকলেও মোদি সরকার পুলওয়ামার হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে।মুম্বই হামলার পর ইউপিএ সরকার ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টার গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সে সময়কার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন। সন্ত্রাসবাদীদের তথ্য আদানপ্রদানের জন্য ন্যাটগ্রিডের প্রস্তাবও মোদি ঠান্ডাঘরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। মুম্বই হানার ১৪ জিনের মধ্যে ইউপিএ সরকার হাফিজ সৈয়দকে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করতে চিনকে রাজি করাতে পেরেছিল। তঁাদের কাজের জন্যই লস্কর ই তৈবা আজ শক্তিহীন।