কলকাতা: পরিবেশের ঊর্ধ্বে উঠে যখন রাজনীতির তাণ্ডব দেখেছে বাংলা, ঠিক তখনই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের বিরুদ্ধেবুক চিতিয়ে লড়াই শুরু সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ ম্যানগ্রোভ অঞ্চলের৷ ম্যানগ্রোভে ঘূর্ণিঝড় বারেবারে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে৷ ম্যানগ্রোভের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে ধীরে ধীরে গতি হারিয়ে বুলবুল এগোচ্ছে বাংলাদেশের দিকে৷ ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ম্যানগ্রোভের লড়াইয়ে কার্যত রক্ষা পেতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ৷
জানা গিয়েছে, আজ সন্ধ্যায় আটটা নাগাদ নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সুন্দরবনের সাগরদ্বীপ ও বকখালিতে আছে পরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল৷ সর্বোচ্চ ১৪০ কিলোমিটার গতিবেগে সাগরদ্বীপে বুলবুল তাণ্ডব শুরু করে৷ সাগরদ্বীপ, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হতেই বঙ্গোপসাগরের উপর অতন্দ্র প্রহরী হয়ে বুলবুলের সঙ্গে লড়াই ম্যানগ্রোভ অরণ্যের৷ ম্যানগ্রোভের সঙ্গে লড়াইয়ে বেশ খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ক্রমাগত বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ আর তার প্রভাবে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে চেলেছে বাংলা৷
India Meteorological Department (IMD): Cyclone #BulBul is likely to weaken gradually & move Northwards and cross West Bengal-Bangladesh coasts between Sagar Islands (West Bengal) & Khepupara (Bangladesh) across Sunderban delta during next three hours as a severe cyclonic storm. pic.twitter.com/rDi5fELeXs
— ANI (@ANI) November 9, 2019
হাওয়া অফিস নিয়েছে, এই মুহূর্তে সাগরদ্বীপে ঢুকে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে চলেছে ঘূর্ণিঝড়৷ প্রায় ১৩ কিলোমিটার বিস্তৃত রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের বলয়৷ ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার গতিবেগে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে বুলবুল৷ স্থলভাগের আছড়ে পড়ার সময় কিছুটা শিক্তি ক্ষয় হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের৷ টানা ন’ঘণ্টা ধরে দুর্যোগ থাকবে বলে জানানো হয়েছে৷ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রীয় বলয় অতিক্রম করতে সময় নেবে দু’ঘণ্টা৷ ফলে দু’ঘণ্টা ধরে ঝড়ের তাণ্ডব থাকার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে৷
Severe tropical cyclone #BULBUL is forecast to bring torrential and flooding rain to West Bengal and Bangladesh. Around 100,000 people have been evacuated from coastal areas of Bangladesh https://t.co/4hl5CJEQb6 pic.twitter.com/QHvL31KmZB
— BBC Weather (@bbcweather) November 9, 2019
অন্যদিকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যেই নবান্নের কন্ট্রোল রুমে হাজির হয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একইসঙ্গে দুর্যোগ পরিস্থিতি দেখে দমদম বিমানবন্দরে সমস্ত বিমান ওঠানামার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে৷ প্রশাসনকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে৷ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ ৩১৮টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে৷ ২১৫টি লঙ্গরখানা খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷