বাঁকুড়া: দিদি বলছেন থাপ্পড় মারবেন। দিদি আপনার থাপ্পড় আমার কাছে আশীর্বাদ। আপনি যদি তোলাবাজদের থাপ্পড় মারতেন তাহলে ভাল হত। দিদি পেছনে আছে আর অন্য লোক দাদাগিরি করছে। জগাই মাধাই সন্ত্রাস করছে। অনুপ্রবেশকারীদের ক্যাডার বানিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যে এসে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
মোদি বলেন, ‘‘আমি শুনলাম দিদি আমাকে থাপ্পড় মারবেন বলেছেন। আমি আপনাকে দিদি বলে ডাকি। শ্রদ্ধা করি। আপনার থাপ্পড় আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। কিন্ত আপনি যদি তোলাবাজদের থাপ্পড় মারার সাহস দেখাতেন তাহলে ভাল হত। যারা চিটফান্ডের মাধ্যমে গরিব মানুষের টাকা লুঠ করল তাদেরও যদি থাপ্পড় মারতেন তাহলে ভাল হত৷’’
কয়েক দিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে গণতন্ত্রের কড়া থাপ্পড় দিতে চাই। পুরুলিয়ার জনসভা থেকে মমতা বললেন, আমার কাছে টাকা কোনও বিষয় নয়। তাই নরেন্দ্র মোদি যখন বাংলা এসে আমার দলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করলেন তখন আমি তাঁকে গণতন্ত্রের কড়া থাপ্পড় দিতে চেয়েছি।
একবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ রাজ্যের যা অবস্থা তাতে ভোট দিতে যাওয়ার আগে মানুষকে ভাবতে হয়। প্রচার করলে খুন হতে হয়। জয় শ্রী রাম ধ্বনি শুনলে দিদি ঘাবড়ে যান। গণতন্ত্রকে গুণ্ডাতন্ত্রে রুপান্তরিত করেছেন। এ রাজ্যের যা অবস্থা তাতে ভোট দিতে যাওয়ার আগে মানুষকে ভাবতে হয়। প্রচার করলে খুন হতে হয়। জয় শ্রী রাম ধ্বনি শুনলে দিদি ঘাবড়ে যান। গণতন্ত্রকে গুণ্ডাতন্ত্রে রুপান্তরিত করেছেন। এদিন পুরুলিয়ার পাশাপাশি বাঁকুড়াতেও সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ভাষণের একটি অংশে বাংলা ব্যবহার করে তিনি বলেন, ‘কয়লা খাদান থেকে কারা লাভবান হচ্ছে আপনারা সেটা ভালই জানেন।’’