নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও দুই বর্ষীয়ান নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর আজ দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর পর যান ১০ জনপথে সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনে৷ তার আগে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, বর্তমান যা পরিস্থিতি, তাতে দেশ বাঁচাতে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে৷ ‘অনেক হয়েছে অচ্ছে দিন। এবার আসবে সচ্চে দিন।’
তবে কে জোটের মুখ হবে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের পরিস্থিতি শোচনীয়৷ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে৷ গণতন্ত্র ধ্বংসের মুখে৷ বিরোধী দলগুলিকে ভয় দেখানো হচ্ছে৷ এই ভয় ভীতির পরিবেশ থেকে সবার আগে দেশকে রক্ষা করতে হবে৷ এর জন্য নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যেতে হবে৷ এই লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই বিরোধী মুখ উঠে আসবে৷ তিনি নিজে একজন কর্মী হিসাবে কাজ করতে চান বলেও জানান মমতা৷ সেই সঙ্গে সিপিএমের উদ্দেশেও তাঁর বার্তা, রাজ্যে কে প্রধান শত্রু তা আগে ঠিক করতে হবে বেমেদের৷
অন্যদিকে, আজ সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি জানান বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে৷ আগামী দিন জোট নিয়ে তিনি আশাবাদী৷ এদিন প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠক করেন তাঁরা৷ বৈঠকের পর মমতা বলেন, ‘‘চায়ের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সোনিয়াজি৷ রাহুলজিও ছিলেন৷ দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ আলোচনা হয়েছে পেগাসাস ও করোনা পরিস্থিতি নিয়েও৷ বিরোধী ঐক্য নিয়েও আলোচনা হয়েছে৷’’ সঙ্গে দলের মুখ কে হবেন সেই প্রশ্নে বলেন, ‘‘আমি থোড়াই লিডার, আমি তো ক্যাডার। আমি স্ট্রিট ফাইটার।’’
এদিন সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠকের আগে মমতা বলেছিলেন, ‘‘আমি জ্যোতিষ নই৷ যে কেউ মুখ হতে পারেন৷ লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই মুখ উঠে আসবে৷ যেই আসুক আমি তাঁকে সমর্থন করব৷ ভবিষ্যতে কে নেতৃত্ব দেবেন, আমি বলতে পারব না৷ সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে কি তার নাম বলা সম্ভব? তবে সকলের সঙ্গে কথা চলছে৷ খুব শীঘ্রই সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে৷’’