মমতার তোষণ রাজনীতিতে বিস্ফোরক বিদায়ী রাজ্যপাল

কলকাতা: বাংলার আইন-শৃঙ্খলা ও তোষণের রাজনীতি নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুললেন বিদায়ী রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিদায়ী রাজ্যপাল৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বাংলা থেকে বিদায় নেওয়ার সময় বিদায়ী রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন৷ বলেছেন, ‘‘তোষণ রাজনীতিতেই নষ্ট বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। মমতার তোষণ

মমতার তোষণ রাজনীতিতে বিস্ফোরক বিদায়ী রাজ্যপাল

কলকাতা: বাংলার আইন-শৃঙ্খলা ও তোষণের রাজনীতি নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুললেন বিদায়ী রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিদায়ী রাজ্যপাল৷

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বাংলা থেকে বিদায় নেওয়ার সময় বিদায়ী রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন৷ বলেছেন, ‘‘তোষণ রাজনীতিতেই নষ্ট বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। মমতার তোষণ রাজনীতির জন্যই বাংলার এই হাল৷ বাংলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নতির প্রয়োজন৷’’ একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেশ কিছু পরামর্শ দেন৷ জানান, রাজ্য সরকারের উচিত রাজ্যের সমস্ত মানুষকে সমান ভাবে দেখা৷ একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আবেগ নিয়ন্ত্রণ করারও পরামর্শ দিয়েছেন বিদায়ী রাজ্যপাল৷

বিদায়ী রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘একথাও কখনও কাউকে বলতে শুনিনি৷ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা অবনতি হয়েছে এখন কি কারণ দেখলেন তা আমরা বুঝতে পারছি না৷ তিনি যাওয়ার সময় বললেন এখন কথা, তিনি আর দ্বিতীয় দফায় রাজ্যপাল তো হতে পারবেন না৷ তবে, কেন্দ্রের শাসক দলের হয়ে শেষ বার কথা বলে গেলেন৷ আমরা আগেই বলেছিলাম, রাজভবন বিজেপির পার্টি অফিস হয়েছে গিয়েছে৷ সেটাই এখন প্রমাণ হল৷ আর রাজ্যপালের মুখ থেকে এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখের৷ আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে জানি৷ জানার পরে বলছি, এ ধরনের কথা তাঁক কাছ থেকে প্রত্যাশা করা যায় না৷’’

বিদায়ী রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতাদের সখ্যতা নিয়ে বারবারই সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব৷ এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েও একাধিকবার এই বিষয় প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন৷ এবার খোদ রাজ্যপালের এই অভিযোগ বাংলার রাজনীতিতে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *