কলকাতা: সর্ব ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ে তুলব আমরাই, নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করতে গিয়ে এমনই আশ্বাস দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন আজকের ইস্তেহার শুধু বাংলার মানুষের জন্য, আর ইস্তেহারের মূল লক্ষ্য গরিব মানুষের বাঁচার অধিকারকে প্রাধান্য দেওয়া। তবে গোটা দেশের জন্যও ইস্তেহার তৈরি হবে, পরে সর্বভারতী স্তরে গিয়ে জাতীয় ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনা হবে। ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ক্ষমতায় আসবে, অভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশে পরবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসবে।
ইস্তেহার প্রকাশ করতে গিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের সমালোচনা করতে ছাড়েননি তিনি। একই সঙ্গে বাংলায় তৃণমূল সরকার যে উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে তাও একবার মনে করিয়ে দেন। রাজ্যের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে দেশে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে বাংলা।এককথায় তৃণমূলের উন্নয়নের ঝাঁপি এদিন ফের একবার খুলে দেন মমতা, সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রে জোট সরকার ক্ষমতায় এলে রাজ্যের আঙ্গিকেই দেশের উন্নতি সাধিত হবে। তৃণমূল মূলত সেই উন্নয়নের দিশারি হতে চায়।
এদিনের ইস্তেহারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হল, জিএসটি-র পর্যালোচনা। কেন্দ্রে জোট সরকার ক্ষমতায় এলে বিশেষজ্ঞ কমিটি দিয়ে জিএসটি-রে পুনর্বিবেচনা করা হবে।
আদৌ এর প্রয়োজনীয়তা আছে কি না তা নির্ধারণ করার পর লাগু হবে কি হবে না তা ঠিক হবে।নারীদের অগ্রগতির দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হবে। নোটবাতিল যে কেন্দ্রের ভুল সিদ্ধান্ত সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই এনিয়ে তদন্ত হবে, তদন্ত করবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। ১০০ দিনের কাজকে ২০০ দিনে প্রসারিত করা হবে। কৃষকদের জন্য বিশেষ সুযোগসুবিধার কথা বলা হয়েছে তৃণমূলের ইস্তেহারেষ এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কৃষকদের কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।কৃষিঋণ মকুবের পাশাপাশি তাদের রোজগার সুনিশ্চিত করারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এসসি, এসটি-দের জন্য সংরক্ষিত আসন পূরণের পাশাপাশি ছাত্র ও যুবসমাজের জন্য উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থানের ইতিবাচক উদ্যোগের কথাও সুনিশ্চিত করেন মমতা।