বনগাঁ: দুবরাজপুরে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালোনার ঘটনায় চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সোমবার বনগাঁ মহকুমার বাগদার সভা থেকে ফের কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা৷ সভামঞ্চ থেকেই কেন্দ্রী বাহিনীকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন মমতা৷
বলেন, ‘‘আমি শুনলান দুবরাজপুরে বুথের মধ্যে ঢুকে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ আমি রাস্তায় ছিলাম বলে বিস্তারিত জানতে পারিনি৷ কিন্তু, যা জেনেছি, তাতে বুথের মধ্যে ঢুকে সিআরপিএফ গুলি চালিয়েছে৷ ওদের গুলি চালানোর ক্ষমতা দিল কে? ওদের কোনও অধিকার নেই গুলি-লাঠি চালানোর৷ আমরাও আইন জানি৷ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়৷ ওরা আমরা দেখে নেব৷ কিন্তু, এটা অন্যায়৷ সিআরপিএফ কীভাবে বুথের মধ্যে ঢুকল৷ ওদের বুথে ঢোকার কথা নয়৷ ওরা আজ বুথে ঢুকে বলছে বিজেপির এজেন্ট কোথায়? ভোটারদের বলছে বিজেপি ভোট দাও৷ এই সব চলতে পারে না৷ এই ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি৷’’
অন্যদিকে দুবরাজপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডল বললেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে ভোট করছিল৷ আমরা প্রতিবাদ করায় গুলি চলেছে৷ অভিযোগ করেছি৷’’ ইতিমধ্যেই বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল৷
বীরভূমের দুবরাজপুরে বুথে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ওই বুথের ভিতরে মোবাইল রাখা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বচসা, হাতাহাতি শুরু হয়। অবস্থা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে শূন্যে গুলি চালান এক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। তার জেরে কিছুক্ষণের জন্য ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।বন্ধ করা হয় ভোটগ্রহণ।যদিও গুলি চালনা প্রসঙ্গে কমিশের সাফাই, আত্মরক্ষায় গুলি চালানো হয়। কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, প্রথমে বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় গ্রামবাসীরা। তার পরই আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায় বাহিনী।