কলকাতা: ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাঁড়ি হাটে ভাঙার প্রচেষ্টা করেছেন৷ কলকাতায় বসেই দেশের সমস্ত অ-বিজেপি দলকে একত্রিত করার প্রয়াস দেখা গিয়েছে৷ এবার ২৮ জুলাই বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সবকিছু ঠিক থাকলে ওই দিন দিল্লির বঙ্গভবনে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা পি চিদম্বরম ও দ্বিগ্বিজয় সিংহ, সমাজবাদীপার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন-সহ টিআরএস, আরজেডি, ডিএমকে-র একাধিক নেতা, নেত্রী ও সাংসদদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷
তৃণমূল ও নবান্ন সূত্রের খবর, আগামী ২৬ তারিখ দিল্লি রওনা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী৷ টানা ৩০ তারিখ পর্যন্ত দিল্লিতে রয়েছে তাঁর একাধিক কর্মসূচি৷ বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি এদফায় তিনি যাবেন সংসদের সেন্ট্রাল হলেও৷ ফি-বারই দিল্লি গেলে পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল নেত্রী৷ ক’দিন আগেই অবশ্য সেকথা জানিয়েছিলেন তিনি৷ তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সূত্রের খবর, এবারের সফরে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে রাজ্যপাল পরিবর্তনের দাবি জানানো হতে পারে৷ প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি তিনি দেখা করবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও৷ এরই মাঝে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের সঙ্গে ফোনালাপে ঠিক হয়েছে ২৮ জুলাই বঙ্গ ভবনে সকলের সঙ্গে মিলিত হবেন৷
স্বাভাবিকভাবেই, আগামী লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সময় থাকতেই ওই বৈঠকে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলিকে একত্রিত করার প্রচেষ্টায় নেত্রী যে কোনও খামতি রাখবেন তা স্পষ্ট বলেই অভিমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷ কারণ, ২১ জুলাই শহিদ সমাবেশের ভার্চুয়াল মঞ্চে নেত্রীর মুখ থেকে শোনা গিয়েছে ‘‘দেশকে বাঁচাতে হলে বিরোধীদের এক জোট হতে হবে৷’’ বিরোধীদের একজোট হওয়া কেন প্রয়োজন তার ব্যাখ্যাও সামনে এনেছেন নেত্রী৷ বলেছেন, ‘‘এদের রাজত্বে বেকারি বেড়ে গিয়েছে৷ এরা শুধু গোলি, গুলি, গালি আর পলিটিক্স করতে জানে৷ ভুল করার পর ক্ষমা চাওয়ার মানসিকতা নেই৷ উলটে বলছে, যা করেছি, বেশ করেছি৷’’
ঘটনাচক্রে শরদ পাওয়ার সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বকে ওই দিন মমতার ভার্চুয়াল বক্তৃতা শুনতে দেখা গিয়েছিল৷ স্বাভাবিকভাবেই নেত্রীর ২৮ জুলাইয়ের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবিরও৷