কলকাতা: হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জল জমা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর৷ কেন জল জমছে? তবু কেন ব্যবস্থা নয়? ফিহাদকে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী রোষের মুখে পড়েন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, রাজ্যের পুরসভাগুলি অর্থ দপ্তরের অনুমতি না নিয়েই একাধিক কাজ করে চলেছে৷ এতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সরকারকে৷ টাকা সরকারের৷ কারো নিজের নয়৷ পরবর্তী সময়ে যদি অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া কাজ করে পুরসভা, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সাফ জানিয়ে দেন, প্রশাসনকে নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে ফিরহাদ হাকিমকে৷ পুরসভার চেয়ারম্যানকেও নিময় মেনে চলতে হবে৷ আমিও একটি চেয়ারে আছি৷ আমার জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে৷
বস্তি উন্নয়ন নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা৷ জানান, কেন বস্তি উন্নয়ন হয়নি? আমরা তো টাকা দিয়৷ বস্তি উন্নয়নের জন্য আমাদের কাজ করচে হবে বলেও জানান৷ বাস্তিবাসীদের মতামত শুনতে নেতাদের মাঠে নামারও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী৷
পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে প্রশাসনিক বৈঠক। ইতিমধ্যেই শ’তিনেকের বেশি প্রশাসনিক বৈঠকও সেরে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে ডাক পেলেন বিরোধী দলের বিধায়করাও৷
আজ হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়ার সরৎ সদনে এই প্রশাসনিক বৈঠকে আমন্ত্রণ পান হাওড়া জেলার সমস্ত সাংসদ সদস্য, বিধায়ক, জেলা পরিষদ ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্তারা৷ এই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি বিরোধীদলের বিধায়ক৷