কলকাতা: ৩৭০ ধারা নিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হাঁটছেন মমতা। মঙ্গলবার কলকাতায় এই কথা জানালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, ৩৭০ ধারা জম্বু-কাশ্মীর থেকে তোলা নিয়ে পদ্ধতিগত আপত্তি জানিয়েছেন। বর্তমানে পদ্ধতিগত ত্রুটি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি তোলার কোন কারণ দেখছেন না রাহুল সিনহা৷
তিনি বলেন, পদ্ধতিগত ভুল না দেখে বরং মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের কাজটা দেখুক। কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া রাষ্ট্রের জন্য ভাল হয়েছে কি না তা বিচার করুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া বিল তোলা নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যসভায় ওয়াকআউট করেছেন বলে জানান বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক। রাষ্ট্রের মঙ্গলের জন্য কোন কাজ হলে তার ত্রুটি নিয়ে কথা বলতে নেই বলে ঘুরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান রাহুল সিনহা।
মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধির মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমে কাশ্মীর ইস্যুতে মুখ খোলেন মমতা৷ জানিয়ে দেন, এই বিল তৃণমূল সমর্থন করে না৷
কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যা ঘটেছে সব দেখেছি৷ কারও সঙ্গে কথা না বলে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ জম্মু ও কাশ্মীর প্রতিটি মানুষ আমাদের ভাই-বোন৷ জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার কেন্দ্রের পদ্ধতি নিয়ে আমার আপত্তি আছে৷ আমরা এই বিলকে সমর্থন করি না৷ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মানা হয়নি৷ কেন্দ্র সংবিধান লঙ্ঘন করেছে৷ সরকার সিদ্ধান্ত দেশের পক্ষে বিপদজনক৷ ভোটব্যাংক বাঁচাতে রাজনীতি করছে বিজেপি৷ জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে কেন্দ্র৷ এই বিল পেশ করার আগে সর্বদল বৈঠক করে আলোচনা করতে পারত কেন্দ্র৷ কিন্তু, যেভাবে বিলটি পাস করিয়ে নেওয়া হল, তাতে আমাদের আপত্তি আছে৷’’ কেন মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? প্রশ্ন তোলেন মমতা৷ যদিও, কেন্দ্রের আনা জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল নিয়ে সোমবার দিনভর কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি মমতা৷ এবার, মঙ্গলবার চেন্নাই যাওয়ার আগে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে সোমবারের মমতা তাঁর নীরবতা ভাঙলেন বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল৷