আজ বিকেল: পুলিশ পর্যবেক্ষকের পরামর্শ মতো কলকাতার দুই পুলিশকর্তা অনুজ শর্মা ও জ্ঞানবন্ত সিংকে সরিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন একইভাবে ডায়মন্ড হারবার ও বীরভূমের পুলিশ সুপারকেও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর নিজেদের পছন্দ মতো রাজেশ কুমার কমিশনার ও রমেশবাবুকে বিধাননগরের দায়িত্ব দেওয়া ইস্তক অপমানিত বোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবিধানের নির্দেশাবলী মানলে কমিশনের সিদ্ধান্তকে মেনে নেওয়া ছাড়া রাজ্যের উপয়া নেই। এক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম হয়নি, তবে নতুন আধিকারিকদের মেনে নিলেও কমিশনকে কড়া চিঠি লিখে ক্ষোভ প্রকাশ করতে ভোলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তাঁর অভিযোগ ছিল, বিজেপির কথায় পুলিশকর্তাদের বদলি করে দিল কমিশন।
তৃণমূল নেত্রীর এহেন অনুযোগের পাল্টা কটাক্ষ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, “তৃণমূলের আমলে পশ্চিমবঙ্গ ঘুঘুর বাসা হয়েছে। দিদি তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে রাজ করছেন। কমিশনের তৎপরতায় ডান ও বামহাত খুইয়েছেন তৃণমূলনেত্রী তাই চেঁচামেচি করছেন। তিনি তো নির্বাচনে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরোধিতা করেছেন এমন নয়, তিনি পুলিশেরও বিরোধিতা করেছেন। আসলে সিভিক পুলিশদের দিয়ে রাজ্যে ভোট করাতে চান দিদি। এর আগেও নির্বাচন কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, একবার কমিশনারের পদ থেকে রাজীব কুমারকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। নির্বাচন মিটে গেলে তাঁকে পুনর্বহালও করা হয়, আসলে পঞ্চায়েত ভোটে কুমারদের দিয়েই বাজিমাত করেছেন মমতা। এবার সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তুলে হইচই শুরু করেছেন। রাজ্যে কী আইপিএসের অভাব পড়েছে, নাকি কুমারদের ছাড়া তাঁর চলে না?”
বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের দাবি, শুধু আমরাই নয়, রাজ্যের সব বিরোধীদলই সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে কমিশনে গিয়েছে। সেসব বিচার বিবেচনা করেই এই বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আর তাতেই তৃণমূলের বিশেষ অসুবিধা হয়ে গিয়েছে। তবে এই দুষ্টু পুলিশকর্তাদের তালিকা কিন্তু এখনও শেষ হয়নি, বিরোধীদের দাবি মেনে আরও কিছু পুলিশকর্তা ভোটের আগে ছুটি পেতে চলেছেন।