বারাকপুর: তৃণমূলের আমলেই ঘর ছাড়া তৃণমূল কর্মীদের ৪০০ পরিবার৷ এবার ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরাতে নৈহাটিতে দাঁড়িয়ে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ বৃহস্পতিবার নৈহাটি থেকে সরাসরি আরএসএসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাল্টা বাহিনী গড়াও নির্দেশ দেন তৃণমূল নেত্রী৷ জানিয়ে দেন, আরএসএস যেভাবে অপপ্রচার করছে, তা রুখতে মহিলা ও যুবকদের জন্য পৃথক দুটি বাহিনী গঠনের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘‘আমি চাই প্রতিটি ব্লকে ব্লকে গড়ে উঠুক বাহিনী৷ মেয়েদের জন্য বঙ্গ জননী বাহিনী ও ছাত্র যুবদের জন্য জয়হিন্দ বাহিনী গড়ে উঠুক৷’’
জানান, এই দুই বাহিনী পাড়ায় পাড়ায়, ব্লকে ব্লকে গিয়ে সরকারের প্রচার করবে৷ জন সংযোগ করবে৷ উন্নয়ন পৌঁছে দেবে৷ কোথাও কোনও সমস্যা হলে ওরা দেখে নেবে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘আরএসএস যদি গ্রামে গ্রামে বাহিনী তৈরি করতে পারে, আমি কেন করব না৷ আমাদের এই বাহিনী আরএসএসের পাল্টা বাহিনী হিসাবে কাজ করবে৷’’ এদিন তৃণমূলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাকে গুজরাত হতে দেব না৷ বাংলা বাংলাতেই থাকবে৷ ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরানো হবে৷’’
ভাটপাড়ায় অশান্তি প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘বারাকপুর পুনরুদ্ধার করেই ছাড়ব৷ সিপিএমের হার্মাদরাই বিজেপির জল্লাদে পরিণত হয়েছে৷ তারাই ঘর-বাড়ি ভাঙছে৷’’ ঘর বাড়ি ভাঙা নিয়ে ৩ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিজেপিকে কড়া হুঁশিয়ারি, ‘‘এত তোল কেন? এবার বাংলায় একটা সিটও দেব না৷ আমি আজ বলে গেলেমা, তোমার এবার একটিও কাউন্সিলার পাবে না৷’’ এদিন, সভামঞ্চ থেকে ঘরছাড়া পরিবারের নামের তালিকা চেয়ে নেন মমতা৷ ৪০০ পরিবারের পাশে থাকারও বার্তা দেন মমতা৷ বলেন, ‘‘ওরা সবে কটা সিট জিতেছে তো৷ এখন ওরা তাণ্ডব চালাচ্ছে৷ কিন্তু, শুনে রাখুন আমি কিন্তু এই অশান্তি বরদাস্ত করব না৷ সবে জিতেছে তো, গ্যাস বেলুনের গ্যাসটা বেশি হয়েছে৷’’
তৃণমূলের আমলেই ঘর ছাড়া তৃণমূল কর্মীদের ৪০০ পরিবার৷ এবার ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরাতে নৈহাটিতে পৌঁছে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ নাম না করে অর্জুন, মুকুলকে তুললেন কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তৃণমূলের সভামঞ্চ থেকে পুলিশকেও কড়া ভাষায় হুংকার দেন৷ সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি হলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না৷’’